পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও মুক্তি । এই আশ্চৰ্য্য ব্যাপার দেখিতে পাই যে, আমরা ধীরে ধীরে সকলেই সেই মুক্তির দিকে অগ্রসর হইতেছি। প্রশ্ন হইল,—এই জগৎ বাস্তবিক কি ? কোথা হইতে ইহার উৎপত্তি, কোথায়ই বা ইহার লয় ? আর ইহার উত্তর প্রদত্ত হইল,-মুক্তিতে ইহার উৎপত্তি, মুক্তিতে বিশ্রাম, এবং অবশেষে মুক্তিতেই ইহার লয়। এই যে মুক্তির ভাব, আমরা ষে বাস্তবিক মুক্ত, এই আশ্চৰ্য্য ভাব ছাড়িয়া আমরা এক মুহূৰ্ত্তও চলিতে পারি না, এই ভাৰ ব্যতীত তোমার সকল কাৰ্য্য, এমন কি, তোমার জীবন পর্যান্ত বৃথা। প্রতি মুহূর্তে প্রকৃতি আমাদিগকে দাস বলিয়া প্রতিপন্ন করিতেছেন, কিন্তু তাহার সঙ্গে সঙ্গেই এই অপর ভাবও আমাদের মনে উদয় হইতেছে যে, তথাপি আমরা মুক্ত। প্রতি মুহূর্তে যেন আমরা মায়া দ্বারা আহত হইয়া বদ্ধ বলিয়া প্রতিপন্ন হইতেছি, কিন্তু সেই মুহূর্তেই, সেই আঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই, “আমরা বদ্ধ এই ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই আর এক ভাবও আমাদের উপলব্ধি হইতেছে যে, আমরা মুক্ত। ভিতরে কিছু যেন আমাদিগকে বলিয়া দিতেছে যে, আমরা মুক্ত। কিন্তু এই মুক্তিকে প্রাণে প্রাণে উপলব্ধি করিতে, আমাদের মুক্ত স্বভাবকে প্রকাশ করিতে যে সকল বাধা উপস্থিত হয়, তাহাও একরূপ অনতিক্রমণীয়। তথাপি ভিতরে, আমাদের অন্তরের অস্তস্তলে উহা যেন সৰ্ব্বদা বলিতেছে,-আমি মুক্ত, আমি মুক্ত। আর যদি তুমি জগতের বিভিন্ন ধৰ্ম্মসকল আলোচনা করিয়া দেখ, তবে ভূমি । বুঝিবে,—তাহাদের সকলগুলিতেই কোন না কোনরূপে এইণ্ডার" প্রকাশিত হইয়াছে। শুধু ধৰ্ম্ম নয়—ধৰ্ম্ম শব্দটাকে আপনার : অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ অর্থে গ্রহণ করিবেন না-সমগ্র সামাজিক জীবনটী నీ: