পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । চেয়ার আমাদের জ্ঞাত; কিন্তু ঈশ্বর তাহ হইতেও আমাদের অধিক জ্ঞাত, কারণ, তাহাকে অগ্ৰে জানিয়া—তাহারই ভিতর দিয়া—তবে আমাদিগকে চেয়ারের জ্ঞানলাভ করিতে হয় । তিনি সাক্ষিস্বরূপ, সকল জ্ঞানের তিনি অনন্ত সাক্ষিস্বরূপ । যাহা কিছু আমরা জানি, সবই অগ্ৰে তাহাকে জানিয়া-ৰ্তাহারই ভিতর দিয়া—তবে জানিতে হয় । তিনিই আমাদের আত্মার সারসত্তাস্বরূপ। তিনিই প্রকৃত আমি—সেই "আমিই আমাদের এই 'আমি’র সারসত্তাস্বরূপ ; আমরা সেই 'আমি’র ভিতর দিয়া ব্যতীত কিছুই জানিতে পারি না, সুতরাং সমুদয়ই আমাদিগকে ব্রহ্মের ভিতর দিল্প জানিতে হইবে । অতএব এই চেয়ারখানিকে জানিতে হইলে ইহাকে ব্রহ্মের মধ্য দিয়া তবে জানিতে হইবে। অতএব ব্রহ্ম, চেয়ার অপেক্ষ আমাদের নিকটবৰ্ত্তী হইলেন, কিন্তু তথাপি তিনি আমাদের হইতে অনেক উচ্চে রছিলেন। জ্ঞাতও নহেন, অজ্ঞাতও নহেন, কিন্তু উভয় হইতেই অনন্তগুণে উচ্চ । তিনি তোমার আত্মস্বরূপ । কে এ জগতে এক মুহূৰ্ত্তও জীবন ধারণ করিতে পারিত, কে এ জগতে এক মুহূৰ্ত্তও শ্বাসপ্রশ্বাসকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে পারিত, যদি সেই আনন্দস্বরূপ ইছার প্রতি পরমাণুতে বিরাজমান না থাকিতেন ? কারণ, তাহায়ই শক্তিতে আমরা স্বাসপ্রশ্বাসকার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেছি এবং উহারই অস্তিত্ত্বে আমাদেরও অস্তিত্ব। তিনি যে কোন এক স্থানবিশেষে অবস্থান করিয়া আমার রক্তসঞ্চালন করিতেছেন, তাহ নহে । তাৎপৰ্য্য এই যে, তিনিই সমুদ্বয়ের সভাস্বরূপ-- >む&