পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ, তিনিই আমার আত্মার আত্মা। তুমি কোনরূপেই বলিতে পার না যে, তুমি তাহাকে জান-উহাতে র্তাহাকে অত্যন্ত নামাইয় ফেলা হয়। তুমি লাফাইয়া নিজের ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিতে পার না, সুতরাং তুমি তাহাকে জানিতেও পার zi i sta feir5 ‘first FH-i’–(Objectification ) জিনিষকে বাহিরে আনিয়া বিষয়ের দ্যায় ( জ্ঞেয় বস্তুর স্তায় ) প্রত্যক্ষীকরণ- বুঝায়। উদাহরণস্বরূপ দেখ, স্মরণকার্য্যে তোমরা অনেক জিনিষকে ‘বিষয়ীকৃত’ করিতেছ – যেন তোমাদের নিজেদের স্বরূপ হইতে বাহিরে প্রক্ষেপ করিতেছ। সমুদয় স্মৃতি— যাহা কিছু আমি দেখিয়াছি এবং যাহা কিছু আমি জানি, সবই আমার মনে অবস্থিত। ঐ সকল বস্তুর ছাপ বা ছবি যেন আমার অন্তরে রহিয়াছে। যখনই আমি উহাদের বিষয় চিন্তা করিতে ইচ্ছা করি, উহাদিগকে জানিতে যাই, তখন প্রথমেই ঐ গুলিকে যেন বাহিরে প্রক্ষেপ করিতে হয়। ঈশ্বরসম্বন্ধে এরূপ করা অসম্ভব ; কারণ, তিনি আমাদের আত্মার আত্মা স্বরূপ, আমরা তাহাকে বাহিরে প্রক্ষেপ করিতে পারি না । ছানোগ্য উপনিষদে আছে, ‘স য এযোইণিমৈতদাত্ম্যমিদং সৰ্ব্বং তৎ সত্যং স আত্মা তত্ত্বমসি শ্বেতকেতো ইহার অর্থ এই, সেই স্বল্পস্বরূপ জগৎকারণ সকল বস্তুর আত্মা, তিনিই সত্যস্বরূপ, হে শ্বেতকেতে, তুমি তাহাই ।” এই তত্ত্বমসি’ বাক্য বেদান্তের মধ্যে পবিত্রতম বাক্য-মহাবাকা—বলিয়। কথিত হয়, আর ঐ পূৰ্ব্বোস্থত বাক্যাংশ দ্বার ‘তত্ত্বমসি’র প্রকৃত অর্থ কি, তাহাও বুঝা গেল। ‘তুমিই সেই’-ঈশ্বরকে এতদ্ব্যতীত অস্ত কোন ভাষায় ভূমি }(లి