পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ । এমন সময় আসিবে, যখন, যে শক্তি কীটাণুর ভিতরে ক্রীড়া করিতেছিল এবং যাহ অবশেষে মনুষ্যরূপে পরিণত হইয়াছিল, তাহ সমস্ত বাধা অতিক্রম করিবে, বহিঃস্থ ঘটনাপুঞ্জ আর উহাকে কোন বাধা দিতে পরিবে না। এই তত্ত্বট দার্শনিক ভাষায় প্রকাশিত হইলে এইরূপ বলিতে হইবে :-প্রত্যেক কার্য্যের দুইটা করিয়া অংশ আছে, একটী বিষয়ী, অপরট বিষয়। একজন আমাকে তিরস্কার করিল, আমি আপনাকে অসুখী বোধ করিলাম—এখানেও এই দুষ্টট ব্যাপার রহিয়াছে। আর আমার সারাজীবনের চেষ্ট কি ? না, নিজের মনকে এতদূর সবল করা, যাহাতে বাহিরের অবস্থাগুলির উপর আমি আধিপত্য করিতে পরিব, অর্থাৎ সে আমাকে তিরস্কার করিলেও আমি কিছু কষ্ট অনুভব করিব না। এইরূপেই আমরা প্রকৃতিকে জয় করিবার চেষ্টা করিতেছি । নীতির অর্থ কি ? নিজেকে দৃঢ় করা উহাকে ক্রমশঃ সৰ্ব্বপ্রকার অবস্থা সহাইয়া লওয়া, যেমন তোমাদের বিজ্ঞান বলেন যে, মনুষ্যশরীর কালে সৰ্ব্বাবস্থাসহনক্ষম হয়, আর যদি বিজ্ঞানের একথা সত্য হয়, তবে আমাদের দর্শনের এই সিদ্ধান্ত, ( অর্থাৎ এমন এক সময় আসিবে, যখন আমরা সৰ্ব্বপ্রকার অবস্থার উপর জয়লাভ করিতে পারিব), অকাট্য যুক্তির উপর স্থাপিত হইল, বলিতে হইবে; কারণ, প্রকৃতি সসীম। এই একটা কথা আবার বুঝিতে হইবে—প্রকৃতি সসীম। ‘প্রকৃতি সসীম কি করিয়া জানিলে ? দর্শনের দ্বারা উহা জানা যায়। প্রকৃতি সেই অনস্তেরই সীমাবদ্ধভাবমাত্র, অতএব উহ। সসীম। অতএব এমন এক সময় আসিবে, যখন আমরা বাহিরের - >{tN