পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ । তালোকে উদ্ভাসিত করিলেন। আমরা এক্ষণে চাই এই প্রথর জ্ঞানহুর্য্যের সহিত বুদ্ধদেবের এই অদ্ভূত হৃদয়-এই অদ্ভূত প্রেম ও দয়া সম্মিলিত হউক। খুব উচ্চ দার্শনিক ভাবও উহাতে থাকুক, উহা বিচারপূত হউক, আবার সঙ্গে সঙ্গে যেন উহাতে উচ্চ হৃদয়, প্রবল প্রেম ও দয়ার যোগ থাকে। তবেই মণিকাঞ্চন যোগ হইবে, তবেই বিজ্ঞান ও ধৰ্ম্ম পরস্পরে কোলাকুলি করিবে । ইহাই ভবিষ্যতের ধৰ্ম্ম হইবে, আর যদি আমরা উহ। ঠিক ঠিক করিয়া তুলিতে পারি, তাহা হইলে নিশ্চয় বলা যাইতে পারে, উহা সৰ্ব্বকাল ও সৰ্ব্বাবস্থার উপযোগী হইবে। যদি আপনার বাড়ী গিয়া স্থিরভাবে চিন্তা করিয়া দেখেন, তবে দেখিবেন, সকল বিজ্ঞানেরই কিছু না কিছু ক্রটি আছে। তাহা হইলেও কিন্তু ইঙ্গ নিশ্চয় জানিবেন, আধুনিক বিজ্ঞানকে এই এক পথেই আসিতে হইবে—হুইবে কি— এখনই প্রায় উহাতে আসিয়া পড়িয়াছে। যখন কোন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানাচাৰ্য্য বলেন, সবই সেই এক শক্তির বিকাশ, তখন কি আপনাদের মনে হয় না যে, তিনি সেই উপনিষদ্ভুক্ত ব্রহ্মেরই মহিমা কীৰ্ত্তন করিতেছেন ? ‘অগ্নিৰ্যথৈকে ভুবনম্ প্রবিষ্টো রূপ রূপ প্রতিরূপে বভূব । একস্তথা সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা রূপ রূপম প্রতিরূপো বহিশ, ’ যেমন এক অগ্নি জগতে প্রবিষ্ট হইয়া নানারূপে প্রকাশিত হইতেছেন, তদ্রুপ সেই সৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্মা এক ব্ৰহ্ম নানারূপে প্রকাশিত হইতেছেন, আবার তিনি জগতের বাহিরেও আছেন।” বিজ্ঞানের গতি কোন দিকে, তাহ কি আপনারা বুঝিতেছেন না ? হিন্দুজাতি মনস্তত্ত্বের আলোচনা করিতে করিতে দর্শনের ভিতর > &(2