পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰক্ষা ও জগৎ । অদ্বৈতবাদ যে ঈশ্বর প্রচার করেন, তিনি সকল জগতের সমষ্টিস্বরূপ ; এই মত যদি সত্য হয়, তবে উহা অবগুই সকল মতকে উহার বিশাল উদরে গ্রহণ করিবে। যদি এমন কোন সাৰ্ব্বজনীন ধৰ্ম্ম থাকে, যাহার লক্ষ্য সকলকেই গ্রহণ করা, তাহাকে কেবল কতকগুলি লোকের গ্রহণোপযোগী ঈশ্বরের ভাববিশেষ প্রচার করিলে চলিবে না, উহার সৰ্ব্বভাবের সমষ্টি হওয়া আবশ্বক। অন্ত কোন মতে এই সমষ্টির ভাব তত পরিস্ফুট নহে। তাহা হইলেও তাহার সকলেই সেই সমষ্টিকে প্রাপ্ত হইবার জন্য চেষ্টা করিতেছেন। খণ্ডের অস্তিত্ব কেবল এই জন্য যে, উহা সৰ্ব্বদাই সমষ্টি হইবার জন্ত চেষ্টা করিতেছে। অদ্বৈতবাদের সহিত এই জন্তই ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রথম হইতেই কোন বিরোধ ছিল না । ভারতে আজকাল অনেক দ্বৈতবাদী রহিয়াছেন–র্তাহাদের সংখ্যাও অত্যধিক ; ইহার কারণ, অশিক্ষিত লোকের মনে স্বভাবতঃই দ্বৈতবাদের উদয় হয়। দ্বৈতবাদীরা বলিয়া থাকেন, ইহা জগতের খুব স্বাভাবিক ব্যাখ্যা-কিন্তু এই দ্বৈতবাদীদিগের সহিত অদ্বৈতবাদীর কোন বিবাদ নাই । দ্বৈতবাদী বলেন, ঈশ্বর জগতের বাহিরে, স্বর্গের মধ্যে স্থানবিশেষে অবস্থিত—অদ্বৈতবাদী বলেন, জগতের ঈশ্বর র্তাহার নিজেরই অন্তরাত্মাস্বরূপ, তাহাকে দূরবর্তী বলাই যে নাস্তিকতা। উহাকে স্বর্গে বা অপর কোন দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত কি করিয়া বল ? তাহা হইতে পৃথগভাব-ইহা মনে করাও যে ভয়ানক ! তিনি অন্যান্য সকল বস্তু অপেক্ষ আমাদের অধিকতর সন্নিতি। ‘তুমিই তিনি, এই একত্বস্বচক বাক্য ব্যতীত কোন ভাষায় এমন কোন শব্দ নাই, যদ্বারা এই সন্নিহিতত্ব প্রকাশ করা չՏԳ