পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ । দ্বৈতবাদী আছেন, তাহদের মত আরও ভয়ানক। তাহারা বলেন, ঈশ্বর যাহাদের প্রতি সদয়, র্যাহার। তাহার অন্তরঙ্গ, র্তাহারা পূৰ্ব্ব হইতেই নির্দিষ্ট আছেন—আর কেহ যদি মাথা কুটিয়া মরে, তথাপি ঐ অন্তরঙ্গ দলের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন না । আপনারা দ্বৈতবাদাত্মক এমন কোন ধৰ্ম্ম দেখান, যাহার ভিতর এই সঙ্কীর্ণতা নাই। এই জন্যই এই সকল ধৰ্ম্ম চিরকালই পরস্পরের সহিত যুদ্ধ করিবে, করিতেছেও। আবার এই দ্বৈতবাদের ধৰ্ম্ম সকল সময়েই লোকপ্রিয় হয়, তাহার কারণ, অশিক্ষিতদিগের ভাব সকল সময়েই লোকপ্রিয় হইয়া থাকে। দ্বৈতবাদী ভাবেন, একজন দণ্ডধারী ঈশ্বর না থাকিলে কোন প্রকার নীতিই দাড়াইতে পারে না। মনে কর একটা ঘোড়া-ছেকৃড়া গাড়ীর ঘোড়া বক্তৃতা দিতে আরম্ভ করিল। সে বলিবে, লণ্ডনের লোক বড় খারাপ, কারণ, প্রত্যহ তাহাদিগকে চাবুক মারা হয় না। সে নিজে চাবুক খাইতে অভ্যস্ত হইয়াছে। সে ইহা অপেক্ষ আর অধিক কি বুঝিবে ? বাস্তবিক কিন্তু চাবুকে লোককে আরও খারাপ করিয়া তোলে। গাঢ় চিন্তায় অক্ষম সাধারণ লোক সকল দেশেই দ্বৈতবাদী হইয়া থাকে । গরীব বেচারারা চিরকাল অত্যাচারিত হইয়া আদিতেছে। সুতরাং তাছাদের মুক্তির ধারণা শাস্তি হইতে অব্যাহতি পাওয়া। অপর পক্ষে, আমরা ইহাও জানি, সকল দেশেরই চিন্তাশীল মহাপুরুষগণ এই নিগুণ ব্রহ্মের ভাব লইয়া কাৰ্য্য করিয়াছেন। এই ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়াই ঈশ৷ বলিয়াছেন, “আমি ও আমার পিতা এক।” এইরূপ ব্যক্তিই লক্ষ লক্ষ ব্যক্তির ভিতরে শক্তিসঞ্চারে সমর্থ। এই শক্তি সহস্ৰ SVeసి