পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া মানবগণের প্রাণে শুভ পরিত্রাণপ্রদ শক্তিসঞ্চার করিয়া থাকে। আমরা আবার ইহাও, জানি, সেই মহাপুরুষই অদ্বৈতবাদী ছিলেন বলিয়া অপরের প্রতিও দয়াশীল ছিলেন। তিনি সাধারণকে ‘আমাদের স্বৰ্গস্থ পিতা’ এ কথাও শিক্ষা দিয়াছেন । সাধারণ লোকে, যাহারা সগুণ ঈশ্বর হইতে আর কোন উচ্চতর ভাব ধারণা করিতে পারে না, তাহাদিগকে তিনি তাহাদের স্বৰ্গস্থ পিতার নিকট প্রার্থনা করিতে শিখাইলেন, কিন্তু ইহাও বলিলেন, যখন সময় আসিবে, তখন তোমরা জানিবে, ‘আমি তোমাদিগেতে, তোমরা আমাতে, যাহাতে তোমরা সকলেই সেই পিতার সহিত একীভূত হইতে পার, কারণ, আমি ও আমার পিত। অভেদ। বুদ্ধদেব দেবতা ঈশ্বর প্রভৃতি বড় গ্রাহ্য করিতেন না। সাধারণ লোকে তাহাকে নাস্তিক আখ্যা দিয়াছিল, কিন্তু তিনি একটা সামান্য ছাগের জন্য প্রাণ পৰ্য্যন্ত ত্যাগ করিতে প্রস্তুত ছিলেন । এই বুদ্ধদেব মনুষ্যজাতির পক্ষে সৰ্ব্বোচ্চ যে নীতি গ্রহণীয় হইতে পারে, তাহ প্রচার করিয়াছিলেন। যেখানেই কোন প্রকার নীতিবিধান দেখিবে, সেইখানেই দেখিবে, তাহার প্রভাব, র্তাহার আলোক। জগতের এই সকল উচ্চহৃদয় ব্যক্তিগণকে তুমি সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর ভিতরে আবদ্ধ করিয়া রাখিতে পার না, বিশেষত: এক্ষণে মনুষ্যজাতির ইতিহাসে এমন এক সময় আসিয়াছে—শতবর্ষ পূর্বে যাহা কেহ স্বপ্নেও ভাবে নাই, এমন সকল জ্ঞানের উন্নতি হইয়াছে, এমন কি পঞ্চাশতবর্ষ পূৰ্ব্বে যাহা কেহ স্বপ্নেও ভাবে নাই, এমন সকল বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের স্রোত প্রবাহিত হইয়াছে। এ সময়ে কি আর লোককে এরূপ সঙ্কীর্ণ ভাবে আবদ্ধ করিয়া রাখা যায় ? እ»ዓፄ