পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । আমাদের এই পৃথিবীও নীহারময় পদার্থবিশেষ হইতে আসিয়াছে— ক্রমশঃ শীতল হইতে শীতলতর হইয়াছে, পরে আমাদের নিবাসভূমিরূপ এই বিশেষীকৃতিবিশিষ্ট ধরণী রচিয়াছে। ভবিষ্যতে উহ আবার শীতল হইতে শীতলতর হইয়া নষ্ট হইবে, খণ্ড খণ্ড হইবে, গুড়াইবে, শেষে সেই মূল নীহারময় স্বাক্ষরূপে যাইবে। প্রতিদিন আমাদের সম্মুখে ইহা ঘটিতেছে। স্মরণাতীত কাল হইতেই ইহ হইতেছে। ইহাই মানবের সমগ্র ইতিহাস, ইহাই প্রকৃতির সমগ্র ইতিহাস, ইহাই জীবনের সমগ্র ইতিহাস । যদি ইহা সত্য হয় যে, প্রকৃতি র্তাহার সকল কাৰ্য্যেই সমপ্রণালীক (Uniform), যদি ইহা সত্য হয়, এবং এ পর্য্যন্ত কোন মনুষ্যজ্ঞানই ইহা খণ্ডন করে নাই যে, একটা ক্ষুদ্র বালুকণা যে প্রণালী ও ষে নিয়মে স্থষ্ট, প্রকাও প্রকাও স্বৰ্য্য, তারা, এমন কি, সমুদয় জগন্তু হ্মাও স্বষ্টি করিতেও সেই একই প্রণালী, একই নিয়ম, যদি ইহা সত্য হয় যে, একট পরমাণু যে কৌশলে নির্মিত, সমুদয় জগৎও সেই কৌশলে নিৰ্ম্মিত, যদি ইহা সত্য হয় যে, একই নিয়ম সমুদয় জগতে প্রতিষ্ঠিত, তবে, প্রাচীন বৈদিক ভাষায় আমরা বলিতে পারি,—“একথগু মৃত্তিকাকে জানিয়া আমরা জগন্তু হ্মাণ্ডস্থ সমুদয় মৃত্তিকাকেই জানিতে পারি।” একটী ক্ষুদ্র উদ্ভিদ লইয়া উহার জীবনচরিত আলোচনা করিলে আমরা জগদ্ধ ক্ষাণ্ডের স্বরূপ জানিতে পারি। একটা বালুকণার গতি পৰ্য্যবেক্ষণে, সমুদয় জগতের রহস্য’ ঙ্কিপার যাইবে। সুতরাং আমাদের পূর্ব আলোচনার ফল সঞ্জঞ্জগষ্টমাণ্ডের উপর প্রয়োগ করিয়া প্রথমতঃ ইহাই পাইতেছি যে, সকলই আদি ও অন্তে প্রায় সদৃশ। পৰ্ব্বতের ጏማ¢ .