পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । তবে তাহারা ধৰ্ম্মের বিনাশকৰ্ত্ত না হইয়া উহার প্রবল সহায় হইলেন। এতদুরে আমরা দেখিলাম, শূন্ত চাইতে কিছুর উৎপত্তি হইল, এই হিসাবে হুষ্টি হইতে পারে না। সকল জিনিষই অনন্তকাল ধরিয়া রহিয়াছে এবং অনন্তকাল ধরিয়া থাকিবে । কেবল তরঙ্গের দ্যায় একবার উঠিতেছে, আবার পড়িতেছে। সুক্ষ অব্যক্তভাবে একবার গতি, আবার স্থল ব্যক্তভাবে আগমন, সমুদয় প্রকৃতিতেই এই ক্রমসঙ্কোচ ও ক্রমবিকাশ প্রক্রিয় চলিতেছে। সুতরাং সমুদয় ব্ৰহ্মাও প্রকাশের পূৰ্ব্বে অবশুই ক্রমসঙ্কুচিত বা অব্যক্ত অবস্থায় ছিল, এক্ষণে বিভিন্নরূপে ব্যক্ত হইয়াছে,–আবার ক্রমসঙ্কুচিত হইয়া অব্যক্তভাব ধারণ করিবে। উদাহরণস্বরূপ একটা ক্ষুদ্র উদ্ভিদের জীবন ধর । আমরা দেখি, দুইটা বিষয় একত্র মিলিত হইয়াই ঐ উদ্ভিদকে এক অখণ্ডবস্তুরূপে প্রতীত করাইতেছে---উহার উৎপত্তি ও বিকাশ আর উহার ক্ষয় ও বিনাশ । এই দুইটী মিলিয়াই উদ্ভিদ-জীবন নামক এই একত্ব বিধান করিতেছে। এইরূপে ঐ উদ্ভিদ-জীবনকে প্রাণ-শৃঙ্খলের একটা পৰ্ব্ব বলিয়া ধরিয়া আমরা সমুদয় বস্তুরাশিকেই এক প্রাণপ্রবাহ বলিয়া কল্পনা করিতে পারি—জীবাণু হইতে উহার আরম্ভ এবং পূর্ণমানবে উহার সমাপ্তি। মানুষ ঐ শৃঙ্খলের একটী পৰ্ব্ব ; আর—যেমন ক্রমবিকাশবাদীরা বলেন—নানারূপ বানর, তার পর আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী এবং উদ্ভিদগণ যেন ঐ প্রাণ-শৃঙ্খলের অন্তান্ত পৰ্ব্বসমূহ। এক্ষণে যে ক্ষুদ্রতম খণ্ড হইতে আমরা আরম্ভ করিয়াছিলাম, তথা হইতে এই সমুদয়কে এক প্রাণপ্রবাহ বলিয়া ধর ; >b">