পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আর প্রত্যেক ক্রমবিকাশের পূর্বেই যে ক্রমসঙ্কোচ প্রক্রিয় বিদ্যমান, ইতিপূৰ্ব্ব-লব্ধ ঐ নিয়ম এস্থলে প্রয়োগ করিলে আমাদিগকে স্বীকার করিতে হইবে যে, অতি নিম্নতম জন্তু হইতে সৰ্ব্বোচ্চ পূর্ণতম মানুষ পৰ্য্যন্ত সমুদয় শ্রেণীই অবশুই অপর কিছুর ক্রমসঙ্কোচ হইবে। কিসের ক্রমসঙ্কোচভাব ? ইহাই প্রশ্ন। কোন পদার্থ ক্রমসঙ্কুচিত হইয়াছিল? ক্রমবিকাশবাদী তোমাদিগকে বলিবেন, তোমার ঈশ্বরধারণ ভুল। কারণ, তোমরা বল, চৈতন্যই জগতের স্রষ্ট, কিন্তু আমরা প্রতিদিন দেখিতেছি যে, চৈতন্য অনেক পরে আইসে। মানুষে ও উচ্চতর জন্তুতেই কেবল আমরা চৈতন্য দেখিতে পাই, কিন্তু এই চৈতন্য জন্মিবার পূৰ্ব্বে এই জগতে লক্ষ লক্ষ বর্ষ অতীত হইয়াছে। যাহা হউক, তোমরা এই ক্রমবিকাশবাদীদের কথায় ভয় পাইও না, তোমরাও এইমাত্র যে নিয়ম আবিষ্কার করিলে, তাহ প্রয়োগ করিয়া দেখ--কি সিদ্ধান্ত দাড়ায়। তোমরা ত দেখিয়াছ, বীজ হইতে বৃক্ষের উদ্ভব আবার বীজে উহার পরিণাম—সুতরাং আরম্ভ ও পরিণাম সমান । পৃথিবীর উৎপত্তি তাহার কারণ হইতে, আবার কারণেই উহার বিলয়। সকল বস্তু সম্বন্ধেই এই কথা—আমরা দেখিতেছি, আদি অন্ত উভয়ই সমান। এই সমুদয় শৃঙ্খলের শেষ কি ? আমরা জানি, আরম্ভ জানিতে পারিলে আমরা পরিণামও জানিতে পারিব। এইরূপ, অন্ত জানিতে পারিলেই আদি জানিতে পারিব। এই সমুদয় ক্রমবিকাশশীল জীবপ্রবাহের—যাহার এক প্রাস্ত জীবাণু, অপর প্রান্ত পূর্ণ মানব—এই সমুদয়কে একটা বস্তু বলিয়া ধর। এই শ্রেণীর অন্তে আমরা পূর্ণ মানবকে দেখিতেছি, সুতরাং bby: