জ্ঞানযোগ । কখন অব্যক্ত, কথন বা ব্যক্ত-সেইরূপ পূর্ণমানব, মুক্তপুরুষ, দেবমানব, যিনি প্রকৃতির নিয়মের বাহিরে গিয়াছেন, যিনি সমুদয় অতিক্রম করিয়াছেন, যাহাকে আর এই জন্মমৃত্যুর ভিতর দিয়া যাইতে হয় না, যাহাকে খ্ৰীষ্টীয়ানরা খ্ৰীষ্টমানব বলেন, বৌদ্ধগণ বুদ্ধমানব বলেন, যোগীরা মুক্ত বলেন, সেই পূর্ণমানব এই শৃঙ্খলের এক প্রান্ত, আর তিনিই ক্রমসঙ্কুচিত হইয়া শৃঙ্খলের অপর প্রান্তে জীবাণুরূপে প্রকাশিত । এক্ষণে এই ব্ৰহ্মাণ্ডের কারণ সম্বন্ধে কি সিদ্ধান্ত হইল-আলোচনা করা যাউক । এই জগতের শেষ পরিণাম কি ? চৈতন্য— তাই নয় কি ? জগতের সব শেষে হয় চৈতন্য । আর যখন ঐ চৈতন্য ক্রমবিকাশবাদীদের মতে, স্বষ্টির শেষ বস্তু হইল, তাহ হইলে চৈতন্যই আবার সৃষ্টির নিয়ন্তী—স্বষ্টির কারণ হইবেন । মামুষে জগৎসম্বন্ধে চরম ধারণা কি করিতে পারে ? মানুষ এই ধারণা করিতে পারে যে, জগতের এক অংশ অপর অংশের সহিত সম্বন্ধ-জগতের প্রত্যেক বস্তুতেই জ্ঞানের ক্রিয়া প্রকাশিত। প্রাচীন ‘অভিপ্রায়বাদ’ [Design theory] এই ধারণারই অস্ফুট আভাষ । আমরা জড়বাদীদের সহিত মানিয়া লইতেছি যে, চৈতন্যই জগতের শেষ বস্ত-স্মৃষ্টিক্রমের ইহাই শেষবিকাশ, কিন্তু ঐ সঙ্গে আমরা ইহাও বলিয়া থাকি যে, ইহাই যদি শেষ বিকাশ হয়, তবে আদিতেও ইহা বর্তমান ছিল । জড়বাদী বলিতে পারেন, বেশ কথা, কিন্তু মানুষ জন্মিবার পূৰ্ব্বে লক্ষ লক্ষ বর্ষ অতীত হইয়াছে, তখন ত জ্ঞানের অস্তিত্ব ছিল না। এ কথায় আমাদের উত্তর এই, ব্যক্ত চৈতন্য তখন ছিল না বটে, কিন্তু অব্যক্ত চৈতন্য ছিল—আর স্বাক্টর Ꮌby8