পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । শেষ—পূর্ণমানবরূপে প্রকাশিত চৈতন্য। তবে আদি কি হইল ? আদিও চৈতন্য। প্রথমে সেই চৈতন্য ক্রমসঙ্কুচিত হয়, শেষে আবার উহাই ক্রমবিকশিত হয় । অতএব এই জগন্তু হ্মাণ্ডে এক্ষণে যে সমুদয় জ্ঞানরাশি অভিব্যক্ত হইতেছে, তাহার সমষ্টি অবশুই সেই ক্রমসঙ্কুচিত সৰ্ব্বব্যাপী চৈতন্যের অভিব্যক্তি মাত্র। এই সৰ্ব্বব্যাপী বিশ্বজনীন চৈতন্যের নাম ঈশ্বর। উহাকে অন্ত যে কোন নামে অভিহিত কর না কেন, ইহা স্থির যে, আদিতে সেই অনন্ত বিশ্বব্যাপী চৈতন্য ছিলেন। সেই বিশ্বজনীন চৈতন্য ক্রমসঙ্কুচিত হইয়াছিলেন, আবার তিনিই আপনাকে ক্রমশঃ অভিবাক্ত করিতেছেন—যতদিন না তিনি পূর্ণমানব, খৃষ্টমানব, বুদ্ধমানবে পরিণত হন। তখন তিনি নিজ উৎপত্তিস্থানে ফিরিয়া আসেন । এই জন্য সকল শাস্ত্রই বলেন, “আমরা তাহাতে জীবিত, তাঙ্গতেই থাকিয়া চলিতেছি, তাহাতেই আমাদের সত্তা।” এই জন্য সকল শাস্ত্রই বলেন, আমরা ঈশ্বর হইতে আসিয়াছি এবং তাহাতেই ফিরিয়া যাইব । বিভিন্ন পরিভাষা দেখিয়া ভয় পাইও না— পরিভাষায় যদি ভয় পাও, তবে তোমরা দার্শনিক হইবার যোগ্য হইতে পারিবে না। এই বিশ্বব্যাপী চৈতন্যকেই ব্রহ্মবাদীরা ঈশ্বর বলিয়া থাকেন। আমাকে অনেকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, আপনি পুরাতন ঈশ্বর (God) শব্দটা ব্যবহার করেন কেন ? ইহার উত্তর এই পূৰ্ব্বোক্ত বিশ্বব্যাপী চৈতন্য বুঝাইতে যত শব্দ ব্যবহৃত হইতে পারে, তন্মধ্যে উহাই সৰ্ব্বোত্তম । উহা অপেক্ষ ভাল শব্দ আর খুজিয়া পাইবে না, কারণ, মানুষের সকল আশা ভরসা, সকল মুখ >b?