পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । পারা যায় না। যাহা হউক, আমি যদি আপনাদিগকে শুধু এই বলিয়া বুঝাইতে চেষ্টা করিতাম যে, ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহা হইলে আপনাদের নিকট উহা কোনরূপ অর্থ প্রকাশ করিত না। তথাপি এই সমুদয় বিচারাদির পর আমরা সেই প্রাচীন পুরুষের নিকটেই পৌছিলাম। তবে আমরা এক্ষণে কি দেখিলাম ? দেখিলাম যে, জড়, শক্তি, মন, চৈতন্ত বা অন্ত নামে পরিচিত বিভিন্ন জাগতিক শক্তি সেই বিশ্বব্যাপী চৈতন্তেরই প্রকাশ । আমরা ভবিষ্যতে তাঙ্গকে পরম প্রভু বলিয়া আখ্যাত করিব । যাহা কিছু দেখ, শোন, বা অনুভব কর, সবই তাঙ্গর স্বষ্টি,—ঠিক বলিতে গেলে, তাহারই পরিণাম—আরো ঠিক বলিতে গেলে ললিতে হয়, প্রভু স্বয়ং তিনি সুর্য্য ও তারকারূপে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ পাষ্টতেছেন, তিনিই জননী ধরণী, তিনিষ্ট স্বয়ং সমুদ্র। তিনিই মৃত্ত বৃষ্টিধারারূপে পড়িতেছেন, তিনিই মৃত বাতাস যাহা আমরা নিঃশ্বাসের সহিত গ্রহণ করিতেছি, তিনিই শরীরে শক্তিরূপে কাৰ্য্য করিতেছেন। তিনিই বক্তত তিনিই বক্ত,তিনিই এই শ্রোতৃমণ্ডলী। তিনিই এই বেদী, যাহার উপর আমি দাড়াইয়া ; তিনিই ঐ আলোক, যাহা দ্বারা আমি তোমাদের মুখ দেখিতেছি । এ সবই তিনি। তিনি জগতের উপাদান ও নিমিত্ত কারণ, আর তিনিই ক্রমসমুচিত হইয় অণু হন, আবার ক্রমবিকশিত হইয়া পুনরায় ঈশ্বর হন। তিনিই অবনত হইয়া অতি নিম্নতম পরমাণু হন আবার ধীরে ধীরে নিজস্বরূপ প্রকাশ করিয়া নিজেতে যুক্ত হন। ইহাই জগতের রহস্ত। ‘তুমিই পুরুষ, তুমিই স্ত্রী, তুমিই যৌবনগর্কে ՏԵԳ