পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । ঐ এক শব্দের উপর কেন্দ্রীভূত। এখন ঐ শব্দ পরিবর্তন করা অসম্ভব। যখন বড় বড় সাধু মহাত্মারা ঐরূপ শব্দ গড়েন, তখন তাহারা উহাদের অর্থ খুব ভালরূপেই বুঝিতেন। ক্রমে সমাজে যখন ঐ শব্দগুলি প্রচারিত হইয়া পড়িল, তখন অজ্ঞলোকে ঐ শব্দগুলির ব্যবহার করিতে লাগিল । তাছার ফলে শব্দগুলির মহিমা হ্রাস হইল। "ঈশ্বর’ শব্দটী স্মরণাতীত কাল হইতে আসি য়াছে আর যাহা কিছু মহৎ ও পবিত্র, আর এক সৰ্ব্বব্যাপী চৈতন্যের ভাব, ঐ শব্দের ভিতর রহিয়াছে। কোন নিৰ্ব্বোধ ঐ শব্দ ব্যবহারে আপত্তি করিলেই কি উহা ত্যাগ করিতে বল ? অার একজন আসিবে, বলিবে—আমার এই শব্দটী লও, অপরে আবার তাহার শব্দ লইতে বলিবে । এইরূপ হইলে ত এইরূপ বৃথা শব্দের কোন অন্ত পাইবে না । তাই বলি, সেই প্রাচীন শব্দটই ব্যবহার কর, কিন্তু মন হইতে কুসংস্কার দূর করিয়া দিয়া, এই মহৎ প্রাচীন শব্দের অর্থ কি উত্তমরূপে বুঝিম্ ঐ শব্দ আরও উত্তমরূপে ব্যবহার কর। যদি তোমরা “startifašta’ (Law of Association of Ideas ) কাহাকে বলে বুঝ, তবে জানিবে, এই শব্দের সহিত নানাপ্রকার মহান ওজস্ব ভাব সংযুক্ত রহিয়াছে, লক্ষ লক্ষ মানব এই শব্দ ব্যবহার করিয়াছে। লক্ষ লক্ষ লোক ঐ শব্দের পূজা করিয়াছে, আর উহার সহিত যাহা কিছু সৰ্ব্বোচ্চ ও সুন্দরতম, যাহা কিছু যুক্তিযুক্ত, যাহা কিছু প্রেমাস্পদ, মনুষ্যস্বভাবে যাহা কিছু মহৎ ও সুন্দর, তাহাই যোগ করিয়াছে। অতএব উহ। ঐ সমস্ত ভাবের উদ্দীপক কারণস্বরূপ হয়, সুতরাং উহাকে ত্যাগ করিতে و اميالا