পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । লাগিল, ততই এই বাহ দেবতাগণে মনুষ্যের আর তৃপ্তি হইল না। তখন ময়ূন্যের সমুদয় শক্তি তাহার নিজ অন্তর্দেশে প্রবাহিত হইল—তাহার নিজ আত্মা সম্বন্ধে প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইতে লাগিল। বহির্জগৎ হইতে ঐ প্রশ্ন গিয়া অন্তর্জগতে পছছিল। বহির্জগৎ বিশ্লেষণ করিয়া শেষে মানুষ অন্তর্জগৎ বিশ্লেষণ করিতে আরম্ভ করিল। এই ভিতরের মানুষ সম্বন্ধে প্রশ্ন ; ইহা আসে—উচ্চতর সভ্যতা হইতে, প্রকৃতি সম্বন্ধে গভীরতর অস্তদৃষ্টি হইতে, উন্নতির উচ্চতর ভূমিতে আরূঢ় হইলে । এই ভিতরের মানুষই অন্তকার অপরাহ্নের আলোচ্য বিষয় । এই অন্তমানব সম্বন্ধে প্রশ্ন মানুষের যতদূর প্রিয় ও তাহার হৃদয়ের যত সন্নিহিত, আর কিছুই তত নহে। কত লক্ষ বার, কত কত দেশে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইয়াছে। কি অরণ্যবাসী সন্ন্যাসী, কি রাজা, কি দরিদ্র, কি ধনী, কি সাধু, কি পাপী, প্রত্যেক নর, প্রত্যেক নারী সকলেই কোন না কোন সময়ে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসিয়াছেন—এই ক্ষণভঙ্গুর মানবজীবনে কি নিত্য কিছু নাই ? এই শরীর মরিলেও এমন কিছু কি নাই, যাহা মরে না ? যখনই এই শরীর ধূলিমাত্রে পরিণত হয়, তখন কি কিছু জীবিত থাকে না? অগ্নি শরীরকে ভস্মসাৎ করিলে তাহার পর আর কিছু কি অবশিষ্ট থাকে না ? যদি থাকে, তবে তাহার নিয়তি কি ? উহা যায় কোথায় ? কোথা হইতেই বা উহা আসিয়াছিল ? এই প্রশ্নগুলি পুনঃ পুনঃ জিজ্ঞাসিত হইয়াছে, আর যতদিন এই কৃষ্টি থাকিবে, যতদিন মানব-মস্তিষ্ক চিন্তা করিবে, ততদিনই এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইবে। ইহার উত্তর যে কখন পাওয়া যায় নাই, তাহা নহে ; যখনই పినరి