পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইয়াছে, তখনই উত্তর আসিয়াছে ; আর যত সময় যাইবে, ততই উহা উত্তরোত্তর অধিক বল সংগ্ৰহ করিবে । বাস্তবিক পক্ষে সহস্ৰ সহস্র বর্ষ পূৰ্ব্বে ঐ প্রশ্নের উত্তর একেবারেই প্রদত্ত হইয়াছিল ; আর পরবর্তী সময়ে ঐ উত্তরই পুনঃকথিত, পুনর্বিশদীকৃত হইয়া আমাদের বুদ্ধির নিকট উজ্জ্বলতররূপে প্রকাশিত হইতেছে মাত্র । অতএব আমাদের কেবল ঐ উত্তরের পুনঃকথন করিতে হইবে মাত্র। আমরা এই সৰ্ব্বগ্রাসী সমস্তাগুলি সম্বন্ধে নুতন আলোক প্রক্ষেপ করিব, এরূপ ভাণ করি না। আমাদের আকাঙ্ক্ষা এই যে, সেই সনাতন মহান সত্য বর্তমান কালের ভাষায় প্রকাশ করিব, প্রাচীনদিগের চিস্ত আধুনিকদিগের ভাষায় ব্যক্ত করিব, দার্শনিকদিগের চিন্তা লৌকিক ভাষায় বলিব— দেবতাদের চিন্তা মানবের ভাষায় বলিব, ঈশ্বরের চিস্ত দুৰ্ব্বল মানবভাযায় প্রকাশ করিব, যাঙ্গতে লোকে উহা বুঝিতে পারে, কারণ, আমরা পরে দেখিব, যে ঐশী সত্ত হইতে ঐ সকল ভাব প্রস্থত, তাহ মানবেও বর্তমান—যে সত্ত। ঐ চিস্তাগুলিকে স্বজন করিয়াছিলেন, তিনিই মানুষে প্রকাশিত হইয়া নিজেই উহা বুঝিবেন। আমি তোমাদিগকে দেখিতেছি । এই দর্শনক্রিয়ার জন্ত কতগুলি জিনিসের আবশ্যক ? প্রথমতঃ চক্ষু-চক্ষু অবশ্য থাকাই চাই। আমার অন্যান্ত ইন্দ্রিয় অবিকল থাকিতে পারে, কিন্তু যদি আমার চক্ষু না থাকে, তবে আমি তোমাদিগকে দেখিতে পাইব না । অতএব, প্রথমতঃ আমার অবগুই চক্ষু থাকা আবশ্যক। দ্বিতীয়তঃ, চক্ষুর পশ্চাতে আর একটা কিছু যাহা প্রকৃতপক্ষে দর্শনেক্রিয়—তাহ থাকা আবশ্লক । তাহ না থাকিলে দর্শনক্রিয়া لاية لا 蕊