পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । শক্তি মন হইতে গৃহীত–মন আবার আত্মার আলোকে আলোকিত। -- আত্মার স্বরূপসম্বন্ধে আবার নানা প্রশ্ন উঠিতেছে । আত্মা স্বপ্রকাশ, সচ্চিদানন্দই আত্মার স্বরূপ, এই যুক্তি হইতে যদি আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করিতে হয়, তবে স্বভাবতঃই ইহা প্রমাণিত হইতেছে যে, উহা শূন্ত হইতে স্বল্প হইতে পারে না। যাহা স্বপ্রকাশ, অপর-বস্তু-নিরপেক্ষ, তাহা কখন শূন্ত হইতে উৎপন্ন ইষ্টতে পারে না । আমরা দেখিয়াছি, এই জড়জগৎও শূন্ত হইতে হয় নাই—আত্মা ত দুরের কথা । অতএব উহার সর্বদাই অস্তিত্ব ছিল। এমন সময় কথন ছিল না, যখন উহার অস্তিত্ব ছিল না, কারণ, যদি বল, এক সময়ে আত্মার অস্তিত্ব ছিল না, তবে কাল কোথায় অবস্থিত ছিল ? কাল ত আত্মার অভ্যন্তরেই অবস্থিত। যখন আত্মার শক্তি মনের উপর প্রতিবিম্বিত হয়, আর মন চিস্তা করে, তখনই কালের উৎপত্তি। যখন আত্মা ছিল না, তখন সুতরাং চিন্তাও ছিল না ; আর চিন্তা না থাকিলে, কালও থাকিতে পারে না । অতএব যখন কাল আত্মাতে রহিয়াছে, তখন আত্মা যে কালে অবস্থিত, ইহা কি করিয়া বলা যাইতে পারে ? উহার জন্মও নাই, মৃত্যুও নাই, উহা কেবল বিভিন্ন সোপানের মধ্য দিয়া অগ্রসর হইতেছে মাত্র। উহা ধীরে ধীরে আপনাকে নিম্ন অবস্থা হইতে উচ্চ ভাবে প্রকাশ করিতেছে। উহা মনের ভিতর দিয়া শরীরের উপর কার্য্য করিয়া আপনার মহিমা বিকাশ করিতেছে, আর শরীরের দ্বারা বাহ জগৎ গ্রহণ করিতেছে ও উহাকে বুৰিতেছে। উহা একটা শরীর গ্রহণ করিয়া উহাকে ব্যবহার ᎼᏜᏄ . . . . . .