পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । লোকে যে বলিয়া থাকে, “এমন অসঙ্গত মতই নাই, যাহা সমর্থন করিবার জন্ত কোন না কোন দার্শনিক অগ্রসর হন না, এ কথা অতি সত্য। প্রথম আপত্তি এই,-আমাদের জন্ম-জন্মাস্তরের কথা স্মরণ থাকে না কেন ? তাহাতে জিজ্ঞাস্ত এই,—আমরা আমাদের এই জন্মের অতীত ঘটনাই কি সব স্মরণ করিতে পারি ? তোমাদের মধ্যে কয়জনের শৈশবকালের কথা স্মরণ হয় । শৈশবকালের কথা তোমাদের কাহারই স্মরণ হয় না ; আর যদি স্মৃতিশক্তির উপর অস্তিত্ব নির্ভর করে, তবে তোমার উহা স্মরণ নাই বলিয়, ঐ শৈশবাবস্থায় তোমার অস্তিত্বও ছিল না বলিতে হইবে । আমরা যদি স্মরণ করিতে পারি, তবেই পূৰ্ব্বজন্মের অস্তিত্ব স্বীকার করিব, ইহা বলা কেবল বৃথা প্ৰলাপমাত্র। আমাদের পূৰ্ব্বজন্মের কথা স্মরণ থাকিবেই, ইহার কি কোন হেতু আছে ? সেই মস্তিষ্কও নাই, উহা একেবারে ধ্বংস হইয়া গিয়াছে, আর নূতনপ্রকার মস্তিষ্ক রচিত হইয়াছে। অতীতকালের সংস্কারসমূহের যে সমষ্টীভূত ফল, তাহা আমাদের মস্তিষ্কে আসিয়াছে—উহ্য লইয়াই মন এই শরীরে বাস করিতে আসিয়াছে। আমি এক্ষণে যেরূপ, তাহ আমার অনন্ত অতীত কালের কৰ্ম্মফলস্বরূপ । আর সেই সমুদয় অতীত স্মরণ করিবারই বা আমার কি প্রয়োজন ? কুসংস্কারের এমনি প্রভাব যে, যাহার এই পুনর্জন্মবাদ অস্বীকার করে, তাহারাই আবার বিশ্বাস করে, এক সময়ে আমরা বানর ছিলাম ; কিন্তু তাহাদের বানরজন্ম কেন স্মরণ হয় না, এ বিষয় অনুসন্ধান করিতে ভরসা করে না। যখন কোন প্রাচীন ঋষি বা সাধু সত্য প্রত্যক্ষ করিয়াছেন শুনি, আমরা ఫిసెమె