পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । গুলি সংস্কারের সহিত মিলিল। যখন আমি উহার তুল্য সংস্কার আমার ভিতরে না দেখিতে পাই, তখনই আমার অতৃপ্তি আসে। এইরূপ হইলে উহাকে ‘অজ্ঞান’ বলে। আর তৃপ্তি হইলেই উহাকে ‘জ্ঞান’ বলে। যখন একটা আপেল ( apple ) পড়িল, তখন মানুষের অতৃপ্তি আসিল । তার পর মানুষ ক্রমশঃ ঐরূপ কতকগুলি ঘটনা—যেন একটা শৃঙ্খল, দেখিতে পাইল। কি সে শৃঙ্খল ? সেই শৃঙ্খল এই যে, সকল আপেলই পড়িয়া থাকে। মানুষ উহার ‘মাধ্যাকর্ষণ’ সংজ্ঞা দিল । অতএব আমরা দেখিলাম,— পূৰ্ব্বে কতকগুলি অনুভূতি না থাকিলে নূতন অনুভূতি অসম্ভব, কারণ, ঐ নূতন অনুভূতির সহিত মিলাইবার আর কিছু পাওয়া যাইবে না। অতএব কতকগুলি ইউরোপীয় দার্শনিকের মতানুযায়ী “বালক ভূমিষ্ঠ হইবার সময় সংস্কারশূন্য মন লইয়া আসে” একথা যদি সত্য হয়, তবে তাহাকে সংস্কারশূন্য মন লইয়া যাইতে হইবে। কারণ, তাহার ঐ নূতন অনুভূতি মিলাইবার জন্য আর কোন সংস্কার রহিল না। অতএব দেখিলাম, এই পূৰ্ব্বসঞ্চিত জ্ঞানভাণ্ডার ব্যতীত নূতন কোন জ্ঞান হওয়া অসম্ভব। বাস্তবিক কিন্তু আমাদের সকলকেই পূৰ্ব্বসঞ্চিত জ্ঞানভাণ্ডার সঙ্গে করিয়া লইয়া আসিতে হইয়াছে। জ্ঞান কেবল ভূয়োদর্শনলব্ধ, জানিবার আর কোন পথ নাই। যদি আমরা এখানে ঐ জ্ঞান লাভ না করিয়া থাকি, অবশুই আমরা অপর কোথাও উহা লাভ করিয়া থাকিব । মৃত্যুভয় সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাই কেন? একটী কপোত এইমাত্র ডিম্ব হইতে বাহির হইয়াছে—একটী প্তেন আসিল, অমনি সে ভয়ে মায়ের কাছে পলাইয় গেল। কোথা হইতে ঐ কপোতটা শিখিল ९e ९ - -