পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । তুমি নৈরাপ্তের গভীর গহ্বরে নিমজ্জিত হইয়াছ। যখন স্বতি তোমার নিকট এই সকল আনিয়া দিবে, তখনই কেবল তুমি বীরের ন্যায় দাড়াইবে, আর জগং তোমায় ভ্রভঙ্গী করিলে তুমি হাস্ত করিবে। তখনই তুমি বীরের ন্যায় দাড়াইয়া বলিতে পরিবে—“মৃত্যু, তোমাকেও আমি গ্রাহ করি না, তুমি আমাকে কি ভয় দেখাও ?” যখন তুমি জানিতে পরিবে, তোমার উপর । মৃত্যুর কোন শক্তি নাই, তখনই তুমি মৃত্যুকে জয় করিতে পরিবে। আর সকলেই কালে এই মৃত্যুঞ্জয় অবস্থা লাভ করিবে। আত্মার যে পুনর্জন্ম হয়, তাহার কি কোন যুক্তিযুক্ত প্রমাণ আছে ? এতক্ষণ আমরা কেবল শঙ্ক নিরাস করিতেছিলাম, দেখাইতেছিলাম যে,এই পুনর্জন্মবাদ অপ্রমাণ করিবার যে যুক্তিগুলি, তাহা অকিঞ্চিৎকর। এক্ষণে উহার সপক্ষে যে যে যুক্তি আছে, তাহা বিবৃত হইতেছে। পুনৰ্জ্জন্মবাদ ব্যতীত জ্ঞান অসম্ভব। মনে কর, আমি রাস্তায় গিয়া একটা কুকুরকে দেখিলাম। উহাকে কুকুর বলিয়া জানিলাম কিরূপে ? যখনই উহার ছাপ আমার মনের । উপর পড়িল, উহার সহিত মনের ভিতরকার পূৰ্ব্বসংস্কারগুলিকে । মিলাইতে লাগিলাম। দেখিলাম--তথায় আমার সমুদয় পূৰ্ব্ব । সংস্কারগুলি স্তরে স্তরে সজ্জীকৃত রঙ্গিয়াছে। নূতন কোন বিষয় । আসিবামাত্রই আমি ঐটকে সেই প্রাচীন সংস্কারগুলির সহিত মিলাইলাম। যখনই দেখিলাম, সেইরূপ ভাবের আর কতকগুলি সংস্কার রহিয়াছে, অমনি আমি উহাদিগকে তাহদের সহিত মিলাইলাম--তখনই আমার তৃপ্তি আসিল। আমি তখন হাঙ্গে কুকুর বলিয়া জানিতে পারিলাম, কারণ, উহা পূৰ্ব্বাবস্থিত কত্ত্বক ३e> . .