পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আমাদের ইচ্ছার অধীনে আনয়ন করা যাইতে পারে। শরীরের প্রত্যেক পেশীই আমাদের অধীনে আনয়ন করা যাইতে পারে। এ বিষয়টা আজকাল সৰ্ব্বসাধারণের উত্তমরূপেই পরিজ্ঞাত। অতএব অম্বরী ও ব্যতিরেকী—দুই উপায়েই প্রমাণ হইল যে, যাহাকে আমরা স্বাভাবিক জ্ঞান বলি, তাছা ইচ্ছাকৃত কাৰ্য্যের অবনত ভাব মাত্র। অতএব যখন সমুদয় প্রকৃতিতেই এক নিয়ম রাজত্ব করিতেছে, তখন সমগ্র স্বষ্টিতে উপমান প্রমাণের প্রয়োগ করিয়া অবগুই সিদ্ধান্ত করিতে পারা যায়, তিৰ্য্যগ জাতিতে এবং যমুন্যে যাহা স্বাভাবিক জ্ঞান বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তাহ ইচ্ছার অবনত ভাব মাত্র । . আমরা বহির্জগতে যে নিয়ম পাইয়াছিলাম, অর্থাৎ “প্রত্যেক ক্রমবিকাশ-প্রক্রিয়ার পূৰ্ব্বেই একটী ক্রমসঙ্কোচ প্রক্রিয়া বর্তমান, আর ক্রমসঙ্কোচ হইলেই তৎসঙ্গে সঙ্গে ক্রমবিকাশও থাকিবে” এই নিয়ম খাটাইয়া আমরা স্বাভাবিক জ্ঞানের কি ব্যাখ্যা পাইতে পারি ? স্বাভাবিক জ্ঞান তাহা হইলে বিচারপূর্বক কার্যের ক্রমসঙ্কোচভাব হইয়া দাড়াইল। অতএব মানুষে বা পশুতে যাহাকে স্বাভাবিক জ্ঞান বলি, তাহ অবশুই পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী ইচ্ছাকৃত কার্য্যের ক্রমসঙ্কোচভাব হইবে। আর ইচ্ছাকৃত কাৰ্য্য বলিলেই পূৰ্ব্বে আমরা বাস্তবিক কাৰ্য্য করিয়াছিলাম, স্বীকার করা হইল। পূৰ্ব্বকৃত কাৰ্য্য হইতেই ঐ সংস্কার আসিয়াছিল, আর ঐ সংস্কার এখনও বর্তমান । এই মৃত্যুভীতি, এই জন্মিবামাত্র জলে সস্তরণ, আর মনুষের মধ্যে যাহা কিছু অনিচ্ছাকৃত স্বাভাবিক কাৰ্য্য রছিয়াছে, সবই পূৰ্ব্বকাৰ্য্য ও পুৰ্ব্ব অনুভূতির ফল, উহার এক্ষণে &●8