পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ । স্বাভাবিক জ্ঞানরূপে পরিণত হইয়াছে। এতক্ষণ আমরা বিচারে বেশ অগ্রসর হইলাম, আর এতদূর পর্যন্ত আধুনিক বিজ্ঞানও আমাদের সহায় রছিলেন। আধুনিক বিজ্ঞানবিদেরা ক্রমে ক্রমে প্রাচীন ঋষিদের সহিত একমত হইতেছেন, এবং তাহদের যতখানি প্রাচীন ঋষিদের সঙ্গে মিল, ততখানি কোন গোল নাই। বৈজ্ঞানিকের স্বীকার করেন যে, প্রত্যেক মানুষ এবং প্রত্যেক জন্তুই কতকগুলি অনুভূতির সমষ্টি লইর জন্মগ্রহণ করে ; তাহার ইহাও মানেন যে, মনের এই সকল কাৰ্য্য পূৰ্ব্ব অনুভূতির ফল। কিন্তু তাহারা এইখানে আর এক শঙ্কা তুলিয়া থাকেন। তাহারা বলেন, ঐ অনুভূতিগুলি যে আত্মার, ইহা বলিবার আবগুকতা কি ? উহা কেবল শরীরেরই ধৰ্ম্ম, বলিলেই ত হয় ? উহ বংশানুক্রমিক সঞ্চার বলিলেই ত হয় ? ইহাই শেষ প্রশ্ন । আমি যে সকল সংস্কার লইয়া জন্মিয়াছি, তাহ আমার পূৰ্ব্বপুরুষদের সঞ্চিত সংস্কার, ইহাই বল না কেন ? ক্ষুদ্র জীবাণু হইতে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ মমু্য পর্যন্ত সকলেরই কৰ্ম্মসংস্কার আমার ভিত্তরে রহিয়াছে, কিন্তু উহা বংশানুক্রমিক সঞ্চারের বশেই আমাতে আসিয়াছে। এরূপ হইলে আর কি গোল থাকে ? এই প্রশ্নটা । অতি সূক্ষ্ম । আমরা এই বংশামুক্রমিক সঞ্চারের কতক অংশ মানিয়াও থাকি। কতটুকু মানি ? মানি কেবল আত্মার বাসোপযোগী গৃহ দান করা পর্যন্ত। আমরা আমাদের পূর্ব কর্মের দ্বারা শরীরবিশেষ আশ্রয় করিয়া থাকি। আর র্যাহারা আপনাদিগকে সেই আত্মাকে সন্তানরূপে লাভ করিবার উপযুক্ত করিয়াছেন, তাহাদের নিকট হইতেই তিনি উপযুক্ত উপাদান গ্রহণ করিয়া থাকেন। to ot