পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতত্ব । আছে। এবং যতদিন শরীর এই চক্রের ভিতর, এই নাগরদোলার ভিতর রহিয়াছে, ততদিন নিশ্চিতভাবে, গণিতের ন্যায় সঠিকভাবে বলা যাইতে পারে যে, উহা কোথায় যাইবে, কিন্তু আত্মাসম্বন্ধে তাহা বলা অসম্ভব । অতএব প্রকৃতির ভূত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতরূপে গণিতের ন্যায় সঠিকভাবে বলা অসম্ভব নহে। আমরা এক্ষণে দেখিলাম, জড় পরমাণুগণ এখন যে ভাবে সংহত রহিয়াছে, সময়বিশেষে পুনরায় তাহদের তদ্রুপ সংহতি হইয়া থাকে। অনন্তকাল ধরিয়া জগতের এইরূপ প্রবাহরূপে নিত্যতা চলিয়াছে। কিন্তু ইতাতে ত আত্মার অমরত্ব প্রতিপন্ন হইল না । আমরা ইহাও দেখিয়াছি যে, কোন শক্তিরই নাশ হয় না, কোন জড়বস্তুকেও কথন শূন্যে পর্য্যবসিত করা যাইতে পারে না । তবে উহাদের কি হয় ? উহাদের নানারূপ পরিণাম হইতে থাকে, অবশেষে যেখান হইতে উহাদের উৎপত্তি হইয়াছিল, তথায়ই উহার পুনরাবৃত্ত হয়। সরলরেখায় কোন গতি হইতে পারে না। প্রত্যেক বস্তুই ঘুরির ফিরিয়া আবার পূৰ্ব্বস্থানে প্রত্যাবৃত্ত হয়, কারণ, সরলরেখা অনন্তভাবে বাড়াইলে বৃত্তৰূপে পরিণত হয়। তাহাই যদি হইল, তবে কোন আত্মারই অনন্তকালের জন্য অবনতি হইতে পারে না । উহা হইতেই পারে না । এই জগতে প্রত্যেক জিনিষই শীঘ্র বা বিলম্বে নিজ নিজ বৃত্তগতি সম্পূর্ণ করিয়া আবার নিজ উৎপত্তিস্থানে উপনীত হয়। তুমি, আমি, আর এই সকল আত্মাগণ কি ? আমরা পূৰ্ব্বে ক্রমসঙ্কোচ ও ক্রমবিকাশতত্ত্ব আলোচনার সময় দেখিয়াছি, তুমি আমি সেই বিরাটু বিশ্বব্যাপী চৈতন্য বা প্রাণ বা মনের অংশবিশেষ ; আমরা ૨૨ છે