জ্ঞানযোগ । হয় আমাদের দর্শনের বিষয়, নয় আমাদের কল্পনার বিষয় । যে জিনিষ আমরা দর্শন বা কল্পনা করিতে পারি না, যাহাকে আমরা ধরিতে পারি না, যাহা ভূতও নহে, শক্তিও নহে, যাহা কাৰ্য্য, কারণ অথবা কাৰ্য্যকারণসম্বন্ধ কিছুই নহে, তাহা যৌগিক বা মিশ্র হইতে পারে না। অন্তর্জগৎ পৰ্য্যন্তই মিশ্র পদার্থের অধিকার—তাহার বাহিরে আর নহে। মিশ্র পদার্থ সমুদয়ই নিয়মের রাজ্যের মধ্যেনিয়মের রাজ্যের বাহিরে উদ্ধারা থাকিতেই পারে না। আরও পরিষ্কার করিয়া বলা যাকৃ। এক্ট গেলাস একটী যোগোৎপন্ন পদার্থইহার কারণগুলি মিলিত হইয়৷ এই কাৰ্য্যরূপে পরিণত হইয়াছে। সুতরাং এই কারণগুলির সংহতিস্বরূপ গেলাস নামক যৌগিক পদার্থটা কাৰ্য্যকারণনিয়মের অন্তর্গত। এইরূপে যেখানে যেখানে কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধ দেখা যাইবে—সেখানে সেখানেই যৌগিক পদার্থের অস্তিত্ব স্বীকার করিতে হইবে। তাহার বাহিরে উহার অস্তিত্বের কথা কহ বাতুলতামাত্র। উহাদের বাহিরে আর কার্য্যকারণ সম্বন্ধ খাটিতে পারে না-—আমরা যে জগৎ সম্বন্ধে চিন্তা অথবা কল্পনা করিতে পারি, অথবা যাহা দেখিতে শুনিতে পারি, তাহারই ভিতরে কেবল নিয়ম খাটিতে পারে। আমরা আরও দেখিয়াছি যে, যাহা আমরা ইঞ্জিয়দ্বারা অনুভব বা কল্পনা করিতে পারি, তাহাই আমাদের জগৎ-বাহবন্তু আমরা ইঞ্জিয়দ্বারা প্রত্যক্ষ করিতে পারি, জার । ভিতরের বস্তু মানস-প্রত্যক্ষ বা কল্পনা করিতে পারি, অতএব যাহা আমাদের শরীরের বাহিরে, তাহ ইজিয়ের বাহিরে এবং যাহা কল্পনার বাহিরে, তাহ আমাদের মনের বাহিরে, সুতরাং আমাদের । জগতের বাহিরে। অতএব কাৰ্যকারণ সম্বন্ধের বহির্দেশে স্বাধীন ९९७