পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতত্ব। মন অর্থাৎ চিন্তার যন্ত্র, তৎপরে এই মনের পশ্চাতে সেই আত্মা। আধুনিক দার্শনিকগণ, চিন্তাকে মস্তিষ্কস্থ পরমাণুর বিভিন্ন প্রকার পরিবর্তনের সহিত অভেদ বলিয়া মানেন, মুতরাং তাহার। পূৰ্ব্বোক্তরূপ ঘটনাবলীর ব্যাখ্যায় অশক্ত ; সেই জন্ত তাহারা সাধারণতঃ ঐ সকল একেবারে অস্বীকার করিয়া থাকেন। যাহা হউক, মনের সহিত কিন্তু মস্তিষ্কের বিশেষ সম্বন্ধ এবং শরীরের বিনাশ হইলে উহা কাৰ্য্য করিতে পারে না। আত্মাই একমাত্র প্রকাশক—মন উহার হস্তে যন্ত্রস্বরূপ। বাহিরের চক্ষুরাদি যন্ত্রে বিষয়ের চিত্র পতিত হয়, উহার। আবার ঐ চিত্রকে ভিতরের মস্তিষ্ককেন্দ্রে লইয়া যায়—কারণ, ইহা তোমাদের স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য যে, চক্ষু কৰ্ণ প্রভৃতি কেবল ঐ চিত্রের গ্রাহকমাত্র ; ভিতরের যন্ত্র, অর্থাৎ মস্তিক্ষকেন্দ্রসমূহই, কাৰ্য্য করিয়া থাকে। সংস্কৃত ভাষায় ঐ মস্তিষ্ককেন্দ্ৰসকলকে ইঞ্জিয় বলে—তাহারা ঐ চিত্রগুলিকে লইয়া মনের নিকট সমর্পণ করে ; মন আবার উহাদিগকে বুদ্ধির নিকট এবং বুদ্ধি উহাদিগকে আপন সিংহাসনে অবস্থিত মহামহিমান্বিত রাজার রাজা আত্মাকে প্রদান করে । তিনি তখন দেখিয়া যাহা আবগুক, তাহ আদেশ করেন। তখন মন ঐ মস্তিক্ষকেন্দ্র অর্থাৎ ইস্ক্রিয়গুলির উপর কার্য্য করে, আবার উহার স্থল শরীরের উপর কার্য্য করে। মানুষের আত্মাই বাস্তবিক এই সমুদ্বয়ের অনুভবকৰ্ত্তা, শাস্ত, স্রষ্ট, সবই। আমরা দেখিয়াছি, আস্থা শরীরও নহে, মনও নহে। আত্মা কোন যৌগিক পদার্থ হইতে পারে না। কেন ? কারণ, যাহা কিছু যৌগিক পদার্থ, তাহাই ミミQ &