পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুত্বে একত্ব । দুইটা সম্পূর্ণ পৃথক্ সত্তা নহে, উহার একই বস্তুর বিভিন্ন রূপ, সেই এক বস্তুই জীবন মৃত্যু, দুঃখ মুখ, ভালমন্দ প্রভৃতি রূপে প্রকাশ পাইতেছে। ভাল আর মন্দ এই দুইটী যে সম্পূর্ণ পৃথকৃ বস্তু, আর উহার বে অনন্তকাল ধরিয়া রহিয়াছে, এ ধারণা একেবারেই অসঙ্গত। উহার বাস্তবিক একই বস্তুর বিভিন্ন রূপ —উহা কখন ভালরূপে, কখন বা মন্দরূপে প্রতিভাত হইতেছে মাত্র। বিভিন্নত প্রকারগত নহে, পরিমাণগত। উহাদের প্রভেদ বাস্তবিক মাত্রার তারতম্যে। আমরা বাস্তবিক দেখিতে পাই, একই স্নায়ুপ্রণালী ভাল মন্দ উভয়বিধ প্রবাহই বহন করিয়া থাকে। কিন্তু স্নায়ুমণ্ডলী যদি কোনরূপে বিকৃত হয়, তাহা হইলে কোনরূপ অনুভূতিই হইবে না। মনে কর, কোন একটী বিশেষ স্নায়ু পক্ষাঘাতগ্রস্ত হইল, তবে তাতার মধ্য দিয়া যে মুখকর অনুভূতি আসিত, তাহা আসিবে না, আবার দুঃখকর অনুভূতিও আসিবে না। এই মুখ দুঃখ । কখনই পৃথক নয়, উহাৱা সৰ্ব্বদাই যেন একত্ৰ হিয়াছে। আবার একই বস্তু জীবনে

  • ബി.ബ:-ത്ത് -ു ജ്. * "***٠م محم۔ -تبسم ،بسے. - یہ ہےہے. . .....

বিভিন্ন সময়ে কখন মুখ, কখন বা দুঃখ উৎপাদন করে। একই বস্তু কাহারও স্বধ, কাহারও দুঃখ উৎপাদন করে। মাংসভোজনে ভোক্তার মুখ হয় বটে, কিন্তু যাহার মাস পাওয়া হয়, তাহার ত জানক কষ্ট। এমন কোন বিষয়ই নাই যাহা সকলকে সমান ভাবে মুখ দিয়াছে। কতকগুলি লোক সুখী হইতেছে, আবার কতকগুলি লোক অসুখী হইতেছে। এইরূপই চলিবে । অতএব স্পষ্টতঃই দেখা গেল, এই দ্বৈতভাব বাস্তবিক মিথ্যা। ইহা হইতে কি পাওয়া গেল? আমি পূৰ্ব্ব বক্তৃতায়ই ইহা বলিয়াছি যে, জগতে ২৩৭