পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । সেই যুবাটী নিমন্ত্রিত হইল। ধৰ্ম্মযাজকটা ভগবানের উপাসনা আরম্ভ করিয়া বলিতে লাগিলেন,—‘ঈশ্বরের কৃপার জন্ত র্তাহাকে ধন্যবাদ। তখন যুবকট উঠিয়া বলিলেন,—“সে কি বলিতেছেন— তার কৃপা কোথা ? এ যে র্তার ঘোর অভিশাপ | ধৰ্ম্মযাজক জিজ্ঞাসিলেন,—সে কিরূপ? যুবক উত্তর দিল,—‘যখন আমার পিতার মৃত্যু হইল, তখন তাঙ্ক আপাততঃ অমঙ্গল হইলেও উহাকে মঙ্গল বলিয়াছিলেন। এক্ষণে আপনার সস্তানের জন্মও আপাততঃ মঙ্গলকর বলিয়া প্রতীত হইতেছে বটে, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে উঠা আমার চক্ষে মহা অমঙ্গল বলিয়া বোধ হইতেছে।” এইরূপ ভালে জগতের দুঃখ অমঙ্গলের বিষয় চাপিয়া রাখাই কি জগতের দুঃখ নিবারণের উপায় ? নিজে ভাল হও এবং যাহার কষ্ট পাই তেছে, তাহদের উপর দয়া প্রকাশ কর । জোড়াতাড়া দিয়৷ রাখিবার চেষ্টা করিও না, তাহাতে ভবরোগ আরোগ্য হইবে না। বাস্তবিক পক্ষে, আমাদিগকে জগতের বাহিরে যাইতে হইবে। এই জগৎ সৰ্ব্বদাই ভাল মন্দের মিশ্রণ। যেখানে ভাল দেখিবে, জানিবে-তাহার পশ্চাতে মন্দও রহিয়াছে। কিন্তু এই সমুদয় ব্যক্ত ভাবের পশ্চাতে—এই সমুদয় বিরোধী ভাবের পশ্চাতে বেদাস্ত সেই একত্বকে প্রাপ্ত হন। বেদান্ত বলেন,—মন্দ ত্যাগ কর, আবার ভালও ত্যাগ কর। তাহ হইলে বাকি কি রহিল ? বেদান্ত বলেন,—শুধু ভালমন্দেরই অস্তিত্ব আছে, তাহ নহে । ইহাদের পশ্চাতে এমন জিনিষ বাস্তবিক রহিয়াছে, যাহা প্রকৃতপক্ষে তোমার, যাহা বাস্তবিকই তুমি, যাহা সৰ্ব্বপ্রকার শুভ ও সৰ্ব্বপ্রকার অশুভের বাহিরে—সেই বস্তুই শুভ বা অশুভক্সপে

58