পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুত্বে একত্ব । প্রকাশ পাইতেছে। প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও—তখন, কেবল তখনই, তুমি পূর্ণ মুখবাদী হইতে পরিবে, তাহার পূৰ্ব্বে নহে। ঠাঙ্গ হইলেই তুমি সমুদয় জয় করিতে পরিবে। এই আপাতপ্রতীয়মান ব্যক্তভাবগুলিকে আপনার আয়ত্ত কর, তাহা হইলে তুমি সেই সত্যবস্তুকে যেরূপে ইচ্ছা প্রকাশ করিতে পারিবে। তখনই তুমি উহাকে শুভরূপেই হউক, আর অশুভৰূপেই হউক, মেরুপে ইচ্ছা, প্রকাশ করিতে পরিবে । কিন্তু প্রথমে তোমাকে নিজে নিজের প্রভু হইতে হইবে। উঠ, আপনাকে মুক্ত কর, এই সমুদয় নিয়মের রাজ্যের বাহিরে যাও, কারণ, এই নিয়মগুলি প্রকৃতির সর্বাংশব্যাপী নহে, উহারা তোমার প্রকৃত স্বরূপের অতি সামান্তই প্রকাশ করে মাত্র। প্রথমে নিজে জ্ঞাত হও যে, তুমি প্রকৃতির দাস নহ, কখন ছিলে না, কখন হুইবে ও না—প্রকৃতিকে আপাততঃ অনন্ত বলিয়া মনে করিতেছ বটে, কিন্তু বাস্তবিক উগ সসীম, উহা সমুদ্রের এক বিন্দুমাত্র, তুমিই বাস্তবিক সমুদ্রস্বরূপ, তুমি চন্দ্র স্বৰ্য্য তার—সকলেরই অতীত। তোমার অনন্ত স্বরূপের তুলনায় উহার বুদ্ধ দমাত্র। ইহা জানিলে, তুমি ভালমন্দ উভয়ই জয় করিবে। তখনই তোমার সমুদয় দৃষ্টি একেবারে পরিবর্তিত হইয়া যাইবে, তখন তুমি দাড়াইয়া বলিতে পরিবে,— মঙ্গল কি সুন্দর এবং অমঙ্গল কি অদ্ভূত!’ বেদান্ত ইহাই করিতে বলেন । বেদান্ত বলেন না,-সোণার পাতে মুড়িয়া ক্ষতস্থান ঢাকিয়া রাখ, আর যতই ক্ষত পচিতে থাকে, আরও অধিক সোণার পাত দিয়া মুড়। এই জীবন একটা কঠিন সমস্ত, সন্দেহ নাই। যদিও ইহা বস্ত্রবৎ হর্ভেদ্য প্রতীত হয়, 8C: