পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । সাধারণতঃ লোকে বলিয়া থাকে, বেদান্ত, শুধু বেদান্ত কেন, ভারতীয় সকল দর্শন ও ধৰ্ম্মপ্রণালীই এই জগৎ ছাড়িয়া উহার বাহিরে যাইতে বলিতেছে। কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত শ্লোকদ্বয় হইতেই প্রমাণিত হইবে যে, তাহারা স্বর্গ অথবা আর কোথাও যাইতে চাহিতেন না, বরং তাহারা বলেন, স্বর্গের ভোগ সুখ দুঃখ ক্ষণস্থায়ী। যতদিন আমরা দুৰ্ব্বল থাকিব, ততদিন আমাদিগকে স্বৰ্গনরকে ঘুরিতেই হইবে, কিন্তু আত্মাই বাস্তবিক একমাত্র সত্য। র্তাহারা ইহাও বলেন, আত্মহত্যু দ্বারা এই জন্মমৃত্যুপ্রবাহ অতিক্রম করা যায় না। তবে অবহু প্রকৃত পথ পাওয়া বড় কঠিন । পাশ্চাত্যদিগের স্তায় হিন্দুরাও সব হাতে হেতেড়ে করিতে চান ; তবে উভয়ের দৃষ্টি ভিন্ন ভিন্ন। পাশ্চাত্যগণ বলেন, বেশ ভাল এক খানি বাড়ী কর, উত্তম ভোজন, উত্তম পরিচ্ছদ সংগ্রহ কর, বিজ্ঞানের চর্চা কর, বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতি কর । এইগুলি করিবার সমর তিনি খুব কাষের লোক। কিন্তু হিন্দুরা বলেন, জগতের জ্ঞান অর্থে আত্মজ্ঞান—তিনি সেই আত্মজ্ঞানানন্দে বিভোর হইয়া থাকিতে চাহেন। আমেরিকায় একজন বিখ্যাত অজ্ঞেয়বাদী বক্তা আছেন—তিনি খুব ভাল লোক এবং একজন স্বন্দর বক্তা। তিনি ধৰ্ম্মসম্বন্ধে একটা বস্তৃতা দেন। তাহাতে তিনি বলেন, ধৰ্ম্মের কোন আবশ্যকতা নাই, পরলোক লইয়া মাথা ঘামাইবার আমাদের কিছুমাত্র আবশ্বকতা নাই। তাহার মত বুঝাইবার জন্ত তিনি এই উপস্থাটা প্রয়োগ করিয়াছিলেন –জগংস্কপ এই কমললেবুটা আমাদের সম্মুখে রহিয়াছে, উহার বাৰ রসটা আমরা বাছির করিয়া লইতে চাই। আমার সঙ্গে তাহার একবার રાષિ