পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্ব বস্তুতে ব্ৰক্ষাদর্শন । জগতের অতীত প্রদেশে যাইতে হইবে, এ কথা সত্য হইলেও, আমাদিগকে এই জগতে জীবন ধারণ করিতে ত হইবে। এক্ষণে টঙ্গর মীমাংসা কোথায় ? জগতের বাহিরে যাইতে হইবে, সকল ধৰ্ম্মের এই উপদেশে আপাততঃ এই ভাবই মনে উদয় হয় যে, আত্মহত্যা করাই বুঝি শ্ৰেয়ঃ। প্রশ্ন এই, এই জীবনের দুঃখরাশির প্রতীকার কি, জার গঙ্গর যে উত্তর প্রদত্ত হয়, তাহাতে আপাততঃ ইহাই বোধ হয় যে, জীবনটাকে ত্যাগ করাই ইহার একমাত্র প্রতীকার । এ উত্তরে আমাদের একটা প্রাচীন গল্পের কথা মনে উদয় হয়। একটা মশা একটী লোকের মাথায় বসিয়াছিল, তাহার এক বন্ধু ঐ মশাটাকে । মারিতে গিয় তাহার মস্তকে এমন তীব্র আঘাত করিল যে, সেই লোকটাও মারা গেল, মশাটাও মরিল। পূৰ্ব্বোক্ত প্রতীকারের উপায়ও যেন ঠিক সেইরূপ প্রণালীর উপদেশ দিতেছে। - জীবন যে ছঃখপূর্ণ, জগৎ যে দুঃখপূর্ণ, তাহা যে ব্যক্তি জগৎকে বিশেষরূপে জানিয়াছে, সে আর অস্বীকার করিতে পারে না। কিন্তু সকল ধৰ্ম্ম ইহার প্রতীকারের উপায় কি বলেন ? ওঁাহার বলেন, জগৎ কিছুই নহে ; এই জগতের বাহিরে এমন কিছু আছে হাঙ্গ প্রকৃত সত্য । এই খানেই বাস্তবিক বিবাদ। এই উপায়টাতে যেন আমাদের যাহা কিছু আছে, সমুদয় নষ্ট করিয়া ফেলিতে উপদেশ দিতেছে। তবে উহা কি করিয়া প্রতীকারের উপায় হইবে ? তবে কি কোন উপায় নাই ? প্রতীকারের আর একটা উপায় যাহা কথিত হইয়া থাকে, তাছা এই--বেদান্ত বলেন, ৰিভিন্ন ধৰ্ম্মে বাছ নিজেছ, তাহ সম্পূর্ণ সত্য, কিন্তু ঐ কথার ঠিক ঠিক তাৎপর্ক షోసి