পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । বাসনা হইতেই তাহার উৎপত্তি। তোমার কিছু অভাব আছে, আর সেই অভাব পূর্ণ হইতেছে না, ফল-দুঃখ। অভাব যদি না থাকে, তবে দুঃখও থাকিবে না। যখন আমরা সকল বাসন ত্যাগ করিব, তখন কি হইবে ? দেয়ালেরও কোন বাসনা নাই, উহ। কখন দুঃখ ভোগ করে না । সত্য, কিন্তু উহা কোনরূপ উন্নতিও করে না। এই চেয়ারের কোন বাসনা মাই, উহার কোন কষ্টও নাই, কিন্তু উছ যে চেয়ার, সেই চেয়ারই থাকে । মুখ ভোগের ভিতরেও এক মহান ভাব আছে, দুঃখভোগের ভিতরেও তাহ আছে। যদি সাহস করিয়া বলা যায়, তাহ হইলে ইহাও বলিতে পারি যে, দুঃখের উপকারিতাও আছে। আমরা সকলেই জানি, দুঃখ হইতে কি মহতী শিক্ষা হয়। শত শত কাৰ্য্য আমরা জীবনে করিয়াছি, যাহা, পরে বোধ হয়, না করিলেই ভাল ছিল, কিন্তু তাহ হইলেও ঐ সকল কাৰ্য্য আমাদের মহান শিক্ষকের কার্য্য করিয়াছে। আমি নিজের সম্বন্ধে বলিতে পারি, আমি কিছু ভাল করিয়াছি বলিয়াও আনন্দিত, আবার অনেক খারাপ কাষ করিয়াছি বলিয়াও আনন্দিত—আমি কিছু সৎকাৰ্য্য করিয়াছি বলিয়াও সুখী, আবার অনেক ভ্রমে পড়িয়াছি বলিয়াও মুখী, কারণ, উহাদের প্রত্যেকটাই আমাকে এক এক উচ্চ শিক্ষা দিয়াছে। আমি এক্ষণে যাহা, তাহা আমার পূর্ব কৰ্ম্ম ও চিন্তাসমষ্টির ফলস্বরূপ। প্রত্যেক কাৰ্য্য ও চিন্তারই একটা না একটা ফল আছে, আর আমি মোট এইটুকু উন্নতি করিয়াছি যে, আমি বেশ মুখে কাল কাটাইতেছি। তবেই এক্ষণে সমস্ত কঠিন হইয়া পড়িল । আমরা সকলেই বুঝি, বাসন বড় খারাপ জিনিষ, কিন্তু বাসনা ২৬৪