পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । দূর দৌড়িয়া গিয়া আবার স্থাফাইতে স্থাফাইতে শাবকের নিকটে ফিরিয়া আসিল। হরিণশাবক বলিল, “এই মাত্র তুমি বলিতেছিলে, তুমি খুব বলবান—তবে কুকুরের ডাকে পলাইলে কেন ? হরিণ উত্তরে বলিল, তাই ত, তাই ত, কুকুর ডাকিলেই আমার আর কিছু জ্ঞান থাকে না। আমরাও সারাজীবন তাই করিতেছি। আমরা দুৰ্ব্বল মনুষ্যজাতি সম্বন্ধে কত উচ্চ আশা পোষণ করিতেছি, কিন্তু কুকুর ডাকিলেই হরিণের মত পলাইয় ষাই। তাই যদি হইল, তবে এসকল শিক্ষা দিবার কি আবশ্বকতা ? বিশেষ আবশ্বকতা আছে। বুঝিয়া রাখা উচিত, একদিনে কিছু । श्च न! ।। " ‘আত্মা বারে শ্রোতব্যে মন্তব্যে নিদিধ্যাসিতব্যঃ “ আত্মা সম্বন্ধে প্রথমে গুনিতে হইবে, পরে মনন অর্থাৎ চিন্তা করিতে হইবে, তৎপরে ক্রমাগত ধ্যান করিতে হইবে। সকলেই আকাশ দেখিতে পায়, এমন কি, যে সামান্ত কীট ভূমিতে বিচরণ করে, সেও উপরের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে নীলবর্ণ আকাশ দেখিতে পায়, কিন্তু উহা আমাদের নিকট হইতে কত—কত দূরে রহিয়াছে —বল দেখি! ইচ্ছা করিলেই ত মন সৰ্ব্বস্থানে গমন করিতে পারে, কিন্তু এই শরীরের পক্ষে হামাগুড়ি দিয়া চলিতে শিখিতেই কত সময় অতিবাহিত হয়! আমাদের সমুদয় আদর্শ সম্বন্ধেও এইরূপ। আদর্শসকল আমাদের অনেক দূরে রহিয়াছে, আর আমরা উহা হইতে কত নীচে পড়িয়া রহিয়াছি। তথাপি আমরা জানি, আমাদের একটা আদর্শ থাকা আবশ্বক। শুধু তাঁহাই নহে, জামাদের সৰ্ব্বোচ্চ আদর্শ থাকাই আবর্তক। অধিকাংশ - ኟማ: .