পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্ব বস্তুতে ব্ৰহ্মদর্শন । চঞ্চল, তিনি স্থির, তিনি দূরে, তিনি নিকটে, তিনি এই সকলের ভিতরে, আবার তিনি এই সকলের বাহিরে। যিনি আত্মার মধ্যে সৰ্ব্বভূতকে দর্শন করেন, আবার সৰ্ব্বভূতে আত্মাকে দর্শন করেন, তিনি কিছু গোপন করিবার ইচ্ছা করেন না। যে অবস্থায় জ্ঞানী ব্যক্তির পক্ষে সমুদয় ভূত আত্মা স্বরূপ হইয়৷ যায়, সেই একত্বদশী পুরুষের সেই অবস্থায় শোক বা মোহের বিষয় কি থাকে ? এই সৰ্ব্ব পদার্থের একত্ব বেদান্তের আর একটী প্রধান বিষয়। আমরা পরে দেখিব, বেদান্ত কিরূপে প্রমাণ করেন যে, আমাদের সমুদয় দুঃখ অজ্ঞানপ্রভব, ঐ অজ্ঞান আর কিছুই নয়-এই বহুত্বের ধারণা :-এই ধারণা যে মানুষে মামুষে ভিন্ন-নর নারী ভিন্ন, যুর ও শিশু ভিন্ন—জাতি জাতি পৃথকৃ, পৃথিবী চন্দ্র হইতে পৃথকৃ, চন্দ্র স্বৰ্য্য হইতে পৃথকৃ, একট পরমাণু আর একট পরমাণু হইতে পৃথক, এই জ্ঞানই বাস্তবিক সকল দুঃখের কারণ। বেদান্ত বলেন, এই প্রভেদ বাস্তবিক নাই। এই প্রভেদ বাস্তবিক প্রাতিভাসিক, উপরে উপরে দেখা যায় মাত্র। বস্তুর অস্তস্তলে সেই একত্ব বিরাজমান। যদি তুমি ভিতরে চলিয়া যাও, তুমি এই একত্ব দেখিতে পাইবে—মাহুষে মানুষে একত্ব, নর নারীতে একত্ব, জাতিতে জাতিতে একত্ব, উচ্চ নীচে একত্ব, ধনী দরিদ্রে একত্ব, দেবতা মমধ্যে একত্ব, সকলেই এক-আর যদি আরও অভ্যন্তরে প্রবেশ কর—দেখিবে—ইতর প্রাণীরাও তাহাই। যিনি এইরূপ একত্বদর্শী’ ইয়াছেন, তাহার আর মোহ থাকে না। তিনি তখন সেই একত্বে পহুছিয়াছেন, ধৰ্ম্মবিজ্ঞানে যাহাকে ঈশ্বর বলিয়া থাকে। ≤ማ¢ -