পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষামুভূতি। অখণ্ড বস্তু হইতে পিছাইয় পড়িতেছেন, আর যতই কেন্দ্রের নিকটবৰ্ত্তী হইতেছেন, ততই উহার নিকট পহুছিতেছেন । আমরা যতই এই কেন্দ্রের নিকটবৰ্ত্তী হই, ততই আমরা যে সাধারণ ভূমিতে সকলে একত্র হইতে পারি, তাহার নিকট উপস্থিত হই, আর যতই উহা হইতে দূরে সরিয়া যাই, ততই আমাদের সহিত অপরের বিশেষ পার্থক্য আরম্ভ হয়। এই বহিজগৎ সেই কেন্দ্র হইতে অনেক দূরে, অতএব ইহার মধ্যে এমন কোন সাধারণ ভূমি থাকিতে পারে না, যেখানে সকল অস্তিত্বসমষ্টির এক সাধারণ মীমাংসা হইতে পারে। যত কিছু ব্যাপার আছে, এই জগৎ খুব জোর, তাহার একাংশ মাত্র। আরও কত ব্যাপার রহিয়াছে, মনোজগতের ব্যাপার, নৈতিক জগতের ব্যাপার, বুদ্ধিরাজ্যের ব্যাপার সকল, এইরূপ আরও কত কত ব্যাপার রহিয়াছে। ইহার মধ্যে কেবল একটী মাত্র লইয়া তাহ হইতে সমুদয় জগৎসমস্তার মীমাংসা করা ত অসম্ভব। অতএব আমাদিগকে প্রথমতঃ কোথাও এমন একটী কেন্দ্র বাহির করিতে হইবে, যাহা হইতে অন্তান্ত সমুদয় বিভিন্ন লোক উৎপন্ন হইয়াছে। তথা হইতে আমরা এই প্রশ্ন মীমাংসার চেষ্টা করিব। ইহাই এখন প্রস্তাবিত বিষয়। সেই কেন্দ্র কোথায় ? উহা আমাদের ভিতরে-এই মামুষের ভিতর যে মানুষ রহিয়াছেন, তিনিই এই কেন্দ্র। ক্রমাগত অস্তরের অন্তরে যাইয়া মহাপুরুষেরা দেখিতে পাইলেন, জীবস্থার গভীরতম প্রদেশেই সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডের কেজ। বত প্রকার অস্তিত্ব আছে, সকলেই জাসিয়া সেই এক কেন্দ্রে একীভূত হইতেছে। এখানেই বাস্তবিক সমুয়ের একটা সাধারণ ভূমি— ՀԵՏ