জ্ঞানযোগ । এখানে দাড়াইয়া আমরা একটা সাৰ্ব্বভৌমিক সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারি। অতএব কে জগৎ স্বষ্টি করিয়াছেন, এই প্রশ্নটাই বড় দার্শনিকযুক্তিসিদ্ধ নহে এবং উহার মীমাংসাও বড় কিছু কাযের নহে । পূৰ্ব্বে যে কঠোপনিষদের কথা বলা হইয়াছে, ইহার ভাষা বড় অলঙ্কারপূর্ণ। অতি প্রাচীনকালে এক অতিশয় ধনী ছিলেন। তিনি এক সময়ে এক যজ্ঞ করিয়াছিলেন। তাহাতে এই নিয়ম ছিল যে, সৰ্ব্বস্ব দান করিতে হইৰে । এই ব্যক্তির ভিতর বাহির এক ছিল না। তিনি যজ্ঞ করিয়া খুব মান যশ পাইবার ইচ্ছ। করিতেন। এদিকে কিন্তু তিনি এমন সকল জিনিষ দান করিতেছিলেন, যাহা ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী—তিনি কতকগুলি জরাজীর্ণ, অৰ্দ্ধমৃত, বন্ধ্য, একচক্ষু, খঞ্জ গাভী লইয় তাহাই ব্রাহ্মণগণকে দান করিতেছিলেন। তাহার নচিকেত নামে এক অল্পবয়স্ক পুত্র ছিল। তিনি দেখিলেন, তাহার পিতা ঠিক ঠিক্ ৰ্তাহার ত্ৰত পালন করিতেছেন না, বরং উহা ভঙ্গই করিতেছেন, অতএব তিনি কি বলিবেন, ভবিয়া স্থির করিতে পারিলেন না । ভারতবর্ষে পিতামাতা প্রত্যক্ষ জীবন্ত দেবতা বলিয়া বিবেচিত হইয় থাকেন, সস্তানের তাহদের সন্মুখে কিছু বলিতে বা করিতে সাহস পায় না, কেবল চুপটা করিয়া দাড়াইয়া থাকে। অতএব সেই বালক পিতার সন্মুখীন হইয়া সাক্ষাৎ কিছু জিজ্ঞাসা করিতে না পারিয়া তাহাকে কেবল মাত্র জিজ্ঞাসিল, “পিতঃ, আপনি আমায় কাহাকে দিবেন ? আপনি ত যজ্ঞে সৰ্ব্বস্বদানের সঙ্কল্প করিয়াছেন।" পিতা অতিশয় বিরক্ত হইলেন, বলিলেন, ‘ও কি বলিতেছ বৎস– ՀեՀ