পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । “শব্দ যোজনা করিবার সুন্দর কৌশল, অলঙ্কারিক বর্ণনার ক্ষমত, নানাপ্রকারে শাস্ত্রের শ্লোক ব্যাখ্য, এইসকল কেবল পণ্ডিতদের, আমোদের নিমিত্ত—ধৰ্ম্মার্থে নহে।” যখনই আমাদের আত্মার এই প্রত্যক্ষামুভূতি আরম্ভ হইবে, তখনই ধৰ্ম্ম আরম্ভ হইবে। তখনই তুমি ধাৰ্ম্মিক হইবে এবং তখনই, কেবল তখনই, নৈতিক জীবনও আরম্ভ হইবে । আমরা এক্ষণে রাস্তার পশুদের অপেক্ষাও বড় অধিক নীতিপরায়ণ নই। আমরা এখন কেবল সমাজের শাসনভয়েই বড় উচ্চবাচ্য করি না । যদি সমাজ আজ বলেন, চুরি করিলে আর শাস্তি হইবে না, আমরা অমনি অপরের সম্পত্ত্বি হরণার্থ ব্যগ্র হইয়া দৌড়াইব । আমাদের সচ্চরিত্র হইবার কারণ পুলিশ। সামাজিক প্রতিপত্তিলোপের আশঙ্কাই আমাদের নীতিপরায়ণ হইবার অনেকটা কারণ, আর বাস্তবিক আমরা পশুগণ হইতে খুব অল্পই উন্নত। আমরা যখন নিজ নিজ গৃহের নিভৃত কোণে বসিয়া নিজের অন্তরটার ভিতরে অনুসন্ধান করি, তথনই বুঝিতে পারি, একথা কতদূর সত্য। অতএব আইল আমরা এই কপটত ত্যাগ করি। আইস স্বীকার করি, আমরা ধাৰ্ম্মিক নই এবং অপরের প্রতি ঘৃণা করিবার আমাদের কোন অধিকার নাই। আমাদের সকলের মধ্যে বাস্তবিক ভ্রাতৃসম্বন্ধ আর আমাদের ধর্মের প্রত্যক্ষামুভূতি হইলেই আমরা নীতিপরায়ণ হইবার আশা করিতে পারি। মনে কর তুমি কোন দেশ দেখিয়াছ। কোন ব্যক্তি তোমার কাটিয়া টুকর টুকরা করিয়া ফেলিতে পারে, কিন্তু তুমি আপনার অস্তরের অন্তরে কখন একথা বলিতে পারিবে না যে, তুমি সেই ఇసి 8