পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। দেশ যেখ নাই। অবশু, অতিরিক্ত শারীরিক বলপ্রয়োগ করিলে তুমি মুখে বলিতে পার বটে, আমি সেই দেশ দেখি নাই, কিন্তু তুমি মনে মনে জানিতেছ, তুমি তাহ দেখিয়াছ। বাহজগৎকে তুমি যেরূপ প্রত্যক্ষ কর, যখন তাহ অপেক্ষাও উজ্জ্বলভাবে ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার হইবে, তখন কিছুতেই তোমার বিশ্বাসকে , নষ্ট করিতে পরিবে না। তখনই প্রকৃত বিশ্বাসের আরম্ভ হইবে । বাইবেলের কথা “যাহার এক সর্ষপ পরিমাণ বিশ্বাস থাকে, সে পাহাড়কে সরিয়া যাইতে বলিলে পাহাড়টা তাহার কথা শুনিবে, এ কথার তাৎপৰ্য্যই এই । তখন তুমি স্বয়ং সত্যস্বরূপ হইয়া গিয়াছ বলিয়াই সত্যকে জানিতে পারিবে—কেবল বিচারপূৰ্ব্বক সত্যে সন্মতি দেওয়াতে কোন লাভ নাই । একমাত্র কথা এই, প্রত্যক্ষ হইয়াছে কি ? বেদান্তের ইহাই মূলকথা—ধৰ্ম্মের সাক্ষাৎ কর—কেবল কথায় কিছু হইবে না ; কিন্তু সাক্ষাৎকার করা বড় কঠিন। যিনি পরমাণুর অভ্যস্তরে অতি গুহাভাবে অবস্থান করিতেছেন, সেই পুরাণ পুরুষ, তিনি প্রত্যেক মানবহৃদয়ের গুহ্যতম প্রদেশে অবস্থান করিতেছেন, সাধুগণ র্তাহাকে অন্তর্দৃষ্টি দ্বারা উপলব্ধি করিয়াছেন এবং তখনই র্তাহারা মুখ দুঃখ উভয়েরই পারে গিয়াছেন, আমরা যাহাকে ধৰ্ম্ম বলি, আমরা যাহাকে অধৰ্ম্ম বলি, শুভাশুভ সকল কৰ্ম্ম, সৎ অসৎ, সকলেরই পারে গিয়াছেন—যিনি র্তাহাকে দেখিয়াছেন, তিনিই যথার্থ সত্য দর্শন করিয়াছেন। কিন্তু তাহা হইলে স্বর্গের কথা কি হইল ? স্বর্গ_সম্বন্ধে_আমাদের_ধারণা--এই যে,=উহ!— হঃথশূন্ত মুখ। অর্থাৎ আমরা চাই–সংসারের সব মুখগুলি,

  • Rసి(t .