পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানযোগ . সমুদয় খাদ্যদ্রব্য কাড়িয়া লইতেছি। তবে কেমন করিয়া বালব,—মুখ ক্রমাগত বাড়িতেছে ? প্রবল জাতি দুৰ্ব্বল জাতিকে গ্রাস করিতেছে, কিন্তু তোমরা কি মনে কর, প্রবল জাতি বড় সুখী হইবে ? না, তাহারা আবার পরস্পরকে সংহার করিবে। কিরূপে মুখের যুগ আসিবে, তাহা ত আমি বুঝিন্তে পারি না । এ ত প্রত্যক্ষের বিষয় । আনুমানিক বিচার স্বারাও আমি দেখিতে পাই, ইহা কখন ইবার নয়। পূর্ণতা সৰ্ব্বদাই অনন্ত। আমরা বাস্তবিক সেই অনন্তস্বরূপ— সেই নিজস্বরূপ অভিব্যক্ত করবার চেষ্টা করিতেছি মাত্র। তুমি, আমি সকলেই সেই নিজ নিজ অনন্ত স্বরূপ অভিব্যক্ত করিবার চেষ্টা করিতেছি মাত্র। এ পর্য্যন্ত বেশ কথা । কিন্তু ইহা হইতে কতকগুলি জৰ্ম্মান দার্শনিক বড় এক অদ্ভূত দার্শনিক সিদ্ধান্ত বাহির করিবার চেষ্টা করিয়াছেন —তাঙ্গা এই যে, এইরূপে অনন্ত ক্রমশঃ অধিক হইতে অধিকতর ব্যক্ত হইতে থাকিবেন, যতদিন না আমরা পূর্ণ ব্যক্ত হই, যতদিন না জামরা সকলে পূর্ণ পুরুষ হইতে পারি। পূর্ণ অভিব্যক্তির অর্থ কি ? পূর্ণতার অর্থ অনন্ত, আর অভিব্যক্তির অর্থ সীমা— অতএব ইহার এই তাৎপৰ্য্য দাড়াইল যে, আমরা অসীমতাবে সসীম হইব—একথা ত অসমৃদ্ধ প্রলপমাত্র। শিশুগণ এ নহে সন্তুষ্ট হইতে পারে ; ছেলেদের সন্তুষ্ট করিবার জন্ত, তাহাদিগকে সখের ধৰ্ম্ম দিবার জন্ত, ইহা বেশ উপযোগী বটে, কিন্তু ইহাতে মহাহারিকর। আমাদের জামা উচিত, জগৎ এবং নামৰ-ঈশ্বরের S) sbr