পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষামুভূতি। অবনত ভাব মাত্র ; তোমাদের বাইবেলেও আছে-আদম প্রথমে পূর্ণ মানব ছিলেন, পরে ভ্রষ্ট হইয়াছিলেন। এমন কোন ধৰ্ম্মই নাই, যাহাতে বলে না যে, মানৰ পূৰ্ব্বাবস্থা হইতে হীনাবস্থায় পতিত হইয়াছে। আমরা হীন হইয়া পশু হইয় পড়িয়াছি। এক্ষণে আমরা আবার উন্নতির পথে যাইতেছি, এই বন্ধন হইতে বাহির হুইবার চেষ্টা করিতেছি, কিন্তু আমরা কখন অনন্তকে এখানে অভিব্যক্ত করিতে পারিব না। আমরা প্রাণপণে চেষ্টা করিতে পারি, কিন্তু দেখিব, ইহা অসম্ভব। তখন এমন এক সময় আসিবে, যখন আমরা দেখিব যে, যতদিন আমরা ইঞ্জিয়ের দ্বারা আবদ্ধ, ততদিন পূর্ণতা লাভ অসম্ভব। তখন আমরা যেদিকে অগ্রসর হইতেছিলাম, সেই দিক্ হইতে ফিরিয়৷ পশ্চাদিকে যাত্রা আরম্ভ করিব। . . . ইহারই নাম ত্যাগ। তখন আমরা যে জালের ভিতর পড়িয়াছিলাম, তাহা হইতে আমাদের বাহির হইতে হইবে—- তখনই নীতি এবং দয়াধৰ্ম্ম আরম্ভ হইবে। সমুদয় নৈতিক অনুশাসনের মূলমন্ত্র কি ? নাহং নাহং, তুহু তুহু’। আমাদের পশ্চাদেশে যে অনন্ত রহিয়াছেন, তিনি আপনাকে বহির্জগতে ব্যক্ত করিতে গিয়া এই “অহং-এর আকার ধারণ করিয়াছেন। তাহা হইতেই এই ক্ষুদ্র ‘আমি তুমি’র উৎপত্তি। অভিব্যক্তির চেষ্টায় এই ফলের উৎপত্তি,-এক্ষণে এই “আমি”কে আবার পিছু হটর গিয়া উহার নিজ স্বরূপ অনন্তে মিশিতে হইবে। তিনি বুঝিবেন, তিনি এতদিন বৃথা চেষ্টা করিতেছিলেন। তিনি আপনাকে চক্রে ফেলিয়াছেন,~~র্তাহাকে ঐ চক্র হইতে বাহির \లీeషి