পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরোক্ষানুভূতি। যাহা হউক, আমি যে কথা বলিতেছিলাম যে, মানুষের ক্রমাগত মনন্ত উন্নতি হইতে পারে না, তা ইহা হইতে বেশ বুঝা গেল। । অবগু ‘অনন্ত জগতে অভিব্যক্ত হইতে পারে, ইছা আমাকে যদি কেহ বুঝাইয়া দিতে পারে, তবে তাহ বুঝিতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু আমরা ক্রমাগত সরলরেখায় উন্নতি করিয়া চলিতেছি, এ কথা আমি আদৌ বিশ্বাস করি না। ইহা অসমৃদ্ধ প্রলাপমাত্র। সরলরেখায় কোন গতি হইতে পারে না। যদি তুমি তোমার সন্মুখদিকে একটা প্রস্তর নিক্ষেপ কর, তবে এমন এক সময় আসিবে, যখন উহা বুরিয়া বৃত্তাকারে তোমার নিকট ফিরিয়া আসিবে। তোমরা কি গণিতের সেই স্বতঃসিদ্ধ পড় নাই যে, সরলরেখা অনস্তরূপে বৰ্দ্ধিত হইলে বৃত্তাকার ধারণ করে ? অবশুই ইহা এইরূপই হইবে—তবে হয়ত পথে ঘুরিবার সময় একটু এদিক ওদিক্ হইতে পারে। এই কারণে আমি সৰ্ব্বদাই প্রাচীন ধৰ্ম্মসকলের মতই ধরিয়া থাকি-যখন দেখি, কি খ্ৰীষ্ট, কি বুদ্ধ, কি বেদান্ত, কি বাইবেল, সকলেই বলিতেছেন— এই অপূর্ণ জগৎকে ত্যাগ করিয়াই কালে আমরা সকলে পূর্ণতা লাভ করিব। এই জগৎ কিছুই নয়। খুব জোর, উহা সেই সত্যের একটা ভয়ানক বিসদৃশ অনুকৃতি—ছায়ামাত্র। সকল অজ্ঞান ব্যক্তিই এই ইজিয়মুখ সম্ভোগ করিবার জন্ত দোঁড়িতেছে। ইঞ্জিয়ে আসক্ত হওয়া খুব সহজ। আরও সহজ-জামাদের প্রাচীন অভ্যাসের বশবৰ্ত্ত থাকিয় কেবল আহারপানে মত্ত থাকা। কিন্তু আমাদের আধুনিক দার্শনিকের চেষ্টা করেন, এই সকল মুখকর ভাব লইয় তাহার উপর ধৰ্ম্মের ছাপ দিতে। কিন্তু ঐ לכלא