পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার মুক্তস্বভাব। লুপ্ত পবিত্রতার পুনরুদ্ধারের উপায় হইয়াছে। বৌদ্ধদের সম্বন্ধেও তাহাই, তাহারাও নিৰ্ব্বাণনামক অবস্থাবিশেষে বিশ্বাসী ; উহ এই দ্বৈতজগতের অতীত অবস্থা। বৈদাস্তিকেরা যাহাকে ব্ৰহ্ম বলেন, ঐ নিৰ্ব্বাণ অবস্থাও ঠিক তাহাই, আর বৌদ্ধদের সমুদয় উপদেশের মৰ্ম্ম এই, সেই বিনষ্ট নিৰ্ব্বাণ অবস্থা পুনঃ প্রাপ্ত চষ্টতে হইবে। এইরূপে দেখা যাইতেছে, সকল ধৰ্ম্মেই এই এক তত্ত্ব পাওয়া যাইতেছে যে, যাহা তোমার নয়, তাহা তুমি কখন পাইতে পার না। এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের কাহারও নিকট তুমি ঋণী নহ। তুমি তোমার নিজের জন্মপ্রাপ্ত অধিকারই প্রার্থন করিবে। একজন প্রধান বৈদাস্তিক আচাৰ্য্য এই ভাবটী তাহার নিজকৃত কোন গ্রন্থের নাম প্রদানচ্ছলে বড় সুন্দর ভাবে ব্যক্ত করিয়াছেন। গ্রন্থখানির নাম ‘স্বারাজ্যসিদ্ধি অর্থাৎ আমার নিজের রাজ্য, যাহা হারাইয়াছিল, তাহার পুনঃপ্রাপ্তি। সেই রাজা আমাদের ; আমরা উহা হারাইয়াছি, আমাদিগকেই উহ পুনরায় লাভ করিতে হইবে। তবে মায়াবাদী বলেন, এই রাজ্যনাশ কেবল আমাদের ভ্রমমাত্র আমাদের রাজ্যনাশ হয় নাই— ইহাই কেবল প্রভেদ। যদিও সকল ধৰ্ম্মপ্রণালীই এই বিষয়ে একমত যে, আমাদের যে রাজ্য ছিল, তাহ আমরা হারাইয় ফেলিয়াছি, তথাপি তাহারা উই পুনঃ প্রাপ্ত হইবার উপায় সম্বন্ধে বিভিন্ন উপদেশ দিয়া পাকেন। কেহ বলেন, বিশেষ কতকগুলি ক্রিয়াকলাপ করিয়া প্রতিমাদির পূজা অৰ্চনা করিলে ও নিজে কোন বিশেষ নিয়মে জীবনযাপন করিলে সেই রাজ্যের উদ্ধার হইতে পারে। অপর ৩২৩