পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাদযোগ । সকলেই এই এক সত্যের অধিকারী। তাহাদিগকে ইহা শিখাও। জীবনকে দুঃখময় করিবার আবশুকতা কি ? লোককে নানাপ্রকার কুসংস্কারে পড়িতে দাও কেন ? কেবল এখানে ( ইংলণ্ডে ) নহে, এই তত্বের জন্মভূমিতেই তুমি যদি লোককে উহা উপদেশ কর তাহারা ভয় পাইবে । তাহারা বলে, ইহা সন্ন্যাসীর জন্ত—যাহার সংসার ত্যাগ করিয়া বনে বাস করে। কিন্তু আমরা সামান্ত গৃহস্থ লোক ; ধৰ্ম্ম করিতে গেলে জামাদের কোন না কোন প্রকার ভয়ের দরকার, আমাদের ক্রিয়াকাণ্ডের দরকার, ইত্যাদি । দ্বৈতবাদ জগৎকে অনেক দিন শাসন করিয়াছে, আর এই তাহার ফল। ভাল, একটা নুতন পরীক্ষা কর না কেন ? হয়ত সকল ব্যক্তির ইহা ধারণা করিতে লক্ষ লক্ষ বৎসর লাগিবে, কিন্তু এখনই আরম্ভ কর না কেন ? যদি আমরা আমাদের জীবনে কুড়িট লোককে ইহা বলিতে পারি, আমরা খুব বড় কায করিলাম। ভারতবর্ষে আবার একটী মহতী শিক্ষা প্রচলিত আছে, যাহা পূৰ্ব্বোক্ত তত্ত্ব প্রচারের বিরোধী বলিয়া বোধ হয়। তাহ এই :“আমি শুদ্ধ, আমি আনন্দস্বরূপ, এ কথা মুখে বলা বেশ, কিন্তু জীবনে ত আমি সৰ্ব্বদা ইহা দেখাইতে পারি না।” আমরা একথা স্বীকার করি। আদর্শ সকল সময়েই বড় কঠিন। প্রত্যেক শিশুই আকাশকে আপনার মস্তকের অনেক উপরে দেখে, কিন্তু তাই বলিয়া আমরা আকাশের দিকে যাইতে কেন চেষ্টা করিব না, তাহার ত কোন হেতু নাই। কুসংস্কারের দিকে গেলে কি সব তাল হইৰে ? অমৃতলাভ যদি না করিতে পারি, তবে কি বিষপান করিলেই মঙ্গল হইবে ? আমরা সত্য এখনই অন্ধভব করিতে ৩৩২