পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার মুক্তস্বভাব। না বজ্রনির্ঘোষে ইহা শিক্ষা দাও ? যে কোন ব্যক্তি জগতে দেহ ধারণ করিয়াছে, যে কেহ করিবে, সিংহাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তি অথবা যে রাস্ত বীট দিতেছে, ধনী দরিদ্র সকলকেই কেন না ইহা শিক্ষা দাও ? আমি রাজার রাজা, আম অপেক্ষ বড় রাজা নাই। আমি দেবতার দেবতা, অামা অপেক্ষ বড় দেবতা নাই। এক্ষণে ইহা বড় কঠিন কাৰ্য্য বলিয়া বোধ হইতে পারে,অনেকের পক্ষে ইহা বিস্ময়কর বলিয়া বোধ হয়, কিন্তু তাহা কুসংস্কার জন্ত, অন্য কারণে নহে। সকল প্রকার কদৰ্য্য ও দুষ্পাচ্য খাদ্য খাইয়া এবং উপবাস করিয়া করিয়া আমরা আপনাদিগকে সুখাদ্য থাইবার অনুপযুক্ত করিয়া ফেলিয়াছি। আমরা শিশুকাল হইতে দুৰ্ব্বলতার কথা শুনিয়া আসিতেছি। এ ঠিক ভূত মানার মত। লোকে সৰ্ব্বদা বলিয়া থাকে, আমরা ভূত মানি না—কিন্তু খুব কমলোক দেখিবে, যাহাদের অন্ধকারে একটু গা ছম্ ছন্ন না করে। ইহা কেবল কুসংস্কার। ঠিক এইরূপেই লোকে বলিয়া থাকে, আমরা অমুক মানি না, অমুক মানি না ইত্যাদি—কিন্তু কাৰ্য্যকালে অবস্থাবিশেষে অনেকেই মনে মনে বলিয়া থাকে, যদি কেহ দেবতা বা ঈশ্বর থাক, আমায় রক্ষা কর। বেদান্ত হইতে এই এক প্রধান তত্ত্ব আসিতেছে আর ইহাই একমাত্র সনাতনত্বের দাবী করিতে পারে। বেদান্ত গ্রন্থগুলি কালই নষ্ট হইতে পারে। এই তত্ত্ব প্রথমে হিব্রুদের মস্তিষ্কে অথবা উত্তরমেরুনিবাসীদের মস্তিক্ষে উদয় ইয়াছিল, তাঙ্গতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু ইহা সত্য, আর বাহী সত্য তাহ সনাতন, আর সত্য আমাদিগকে ইহাই শিক্ষা দেয় যে, উহা কোন ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি নহে। মানুষ, পশু, দেবতা vවවා)