পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্মজীবনে বেদান্ত। প্রথম প্রস্তাব। আমাকে অনেকে বেদান্তদর্শনের কৰ্ম্মজীবনে উপয়োগিতাসম্বন্ধে কিছু বলিতে বলিয়াছেন। আমি তোমাদিগকে পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি; মত খুব ভাল বটে, কিন্তু উহা কিরূপে কার্য্যে পরিণত করা যাইবে, ইহাই প্রকৃত সমস্ত। যদি উহা কার্ষ্যে পরিণত করা একেবারে । অসম্ভব হয়, তবে বুদ্ধির একটু পরিচালনা ব্যতীত উহার অপর কোন মূল্য নাই। অতএব বেদান্ত যদি ধৰ্ম্মের আসন অধিকার করিতে চায়, তবে উহাকে সম্পূর্ণরূপে কাযে লাগাইবার মত হইতে হইবে। আমাদের জীবনের সকল অবস্থায় উহাকে কার্ধ্যে পরিণত করিতে হইবে। শুধু তাহাই মহে, আধ্যাত্মিক ও ব্যবহারিক জীবনের মধ্যে যে একটা কাল্পনিক ভেদ আছে, তাহাও দূর করিয়া দিতে ইবে, কারণ, বেদান্ত এক অখণ্ড বস্তুর সম্বন্ধে উপদেশ করেন— বেদান্ত বলেন, এক প্রাণ সৰ্ব্বত্র রহিয়াছেন। ধর্মের আদর্শসমূহ জীবনের সমুদয় অংশকে যেন জাছাদন করে, উহা যেন আমাদিগের প্রত্যেক চিন্তার ভিতরে প্রবেশ করে ও কাৰ্য্যেও যেন উহাদের প্রভাব উত্তরোত্তর ক্ষধিক হইতে থাকে। আমি ক্রমশঃ কৰ্ম্মজীবনে বেদান্তের প্রভাবের কথা বলিব। কিন্তু এই বক্তৃতাগুলি ভবিষ্কৎ, তিতাসমূহের উপকাশিকারূপে সারিত, সুতরাং আমাদিগকে . "ΦΝΦΘ : ২২