পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । প্রথমে মতের বিষয়ই আলোচনা করিতে হইবে। আমাদিগকে বুঝিতে হইবে, পৰ্ব্বতগহ্বর ও নিবিড় অরণ্য হইতে সমুদ্ভূত হইয়া কিৰূপে তাহারা আবার কোলাহলময় নগরীর কার্ঘ্যবহুল রথী সমূহে কাৰ্য্যে পরিণত হইতেছে। এই মতগুলির আমরা আর একটু বিশেষত্ব দেখিব যে, এই চিন্তাগুলির অধিকাংশ নির্জন অরণ্যবাসের ফল নহে, কিন্তু যে সকল ব্যক্তিকে আমরা সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক কৰ্ম্মে ব্যস্ত বলিয়া মনে করি, সেই সিংহাসনোপবিষ্ট রাজগণ ইহাদের প্রণেতা । শ্বেতকেতু, আরুণি ঋষির পুত্র। এই ঋষি বোধ হয় বানপ্রন্থী ছিলেন। শ্বেতকেতু বনেই প্রতিপালিত হইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি পাঞ্চালদিগের নগরে তাহাদিগের রাজা প্রবাহণ জৈবলির নিকট গমন করিলেন। রাজা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মৃত্যুকালে প্রাণিগণ কিরূপে এ লোক হইতে গমন করে, তাহা তুমি কি জান ?—না”। কিরূপে তাহার এখানে পুনরায় আসিয়া থাকে, তাহ কি তুমি জান ?—না । ‘তুমি কি পিতৃস্থান ও দেবধানের বিষয় অবগত আছ ? রাজা এইরূপ আরও অনেক প্রশ্ন করিলেন। শ্বেতকেতু কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারিলেন ন, তাহাতে রাজা তাহাকে বলিলেন, “তুমি কিছুই জান না। বালক পিতার নিকট প্রত্যাবৃত্ত হইয়া ঐ কথা বলতে পিতা বলিলেন, “আমিও এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানি না। যদি জানিতাম, তাহা হইলে কি তোমায় শিখাইতাম না ?” তখন তাহারা পিতাপুত্রে রাজাম্বিধানে উপনীত হইয়া তাহাকে এই রহস্তের বির শিক্ষা দিবার জন্য অনুরোধ করিলেন। রাজা বললেন, এই Hද්”