পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানযোগ । এই গুলিই ত তাহা হইলে জগতে মহাতপস্বী বলিয়া পরিগণিত হইত, তাহারাও ত নিশ্চেষ্ট। আবার কামনাযুক্ত হইলে তাহাই যে কাৰ্য্যনামের উপযুক্ত হয়, তাহ নহে। বেদান্তের আদর্শ যে প্রকৃত কৰ্ম্ম, তাহ অনন্ত স্থিরতার সহিত জড়িত—যাহাই কেন ঘটুক না, সে স্থিরতা কখন নষ্ট হইবার নয়—চিত্তের যে সমভাব কখনও ভঙ্গ হইবার নয়। আর আমরা বহুদৰ্শিতা দ্বারা ইহা জানিয়াছি যে, কাৰ্য্য করিবার পক্ষে এইরূপ মনোভাবই সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক উপযুক্ত। আমাকে অনেকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, আমরা কাৰ্য্যের জন্ত যেরূপ একটা আগ্রহ বোধ করিয়া থাকি, সেরূপ আগ্রহ না থাকিলে কাৰ্য্য কিরূপে করিব ? আমিও অনেক দিন পূৰ্ব্বে ইহাই মনে করিতাম, কিন্তু আমার যতই বয়স হইতেছে, যতই আমি অভিজ্ঞতা লাভ করিতেছি, ততই আমি দেখিতেছি, উহা সত্য নহে। কাৰ্য্যের ভিতরে যত কম আগ্রহ বা কামনা থাকে, আমরা ততই মুনীর কার্য্য করিতে সমর্থ হইয়া থাকি। আমরাবতই শান্ত হই, ততই আমাদের নিজেদের মঙ্গল, আর আমরা অধিক কাৰ্য্য করিতে পারি। যখন আমরা ভাববশে পরিচালিত হইতে থাকি, তখন আমরা শক্তির বিশেষ অপব্য । মনকে চঞ্চল করিয়া তুলি, কিন্তু কাৰ্য্য খুব কম করিতে পারি। যে শক্তি কাৰ্য্যরূপে পরিণত হওয়া উচিত ছিল, তাহ বৃথা ভাৰু কতামাত্রে পৰ্য্যবসিত হইয়া ক্ষয় হইয়া যায়। কেবল যখন মন অতিশয় শান্ত ও স্থির থাকে, তখনই আমাদের সমুদয় শক্তিটুর

  • 82 .