পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত। বিষ্কা—এই ব্রহ্মবিস্ত কেবল রাজাদেরই জ্ঞাত ছিল, ব্রাহ্মণের কখন ইহা জানিতেন না। যাহা হউক, তিনি তৎপরে এতৎসম্বন্ধে যাহা জানিতেন, তাহা শিক্ষা দিতে আরম্ভ করিলেন। এইরূপে আমরা অনেক উপনিষদে এই এক কথা পাইতেছি যে, বেদান্তদর্শন কেবল অরণ্যে ধ্যানলব্ধ নহে, কিন্তু উহার সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট অংশগুলি সাংসারিক কাৰ্য্যে বিশেষ ব্যস্ত মস্তিষ্কসকলের চিস্তিত ও প্রকাশিত। লক্ষ লক্ষ প্রজার শাসক স্বেচ্ছাতন্ত্র রাজার অপেক্ষা কৰ্ম্মে বাস্ত মানুষ আর কাহাকেও কল্পনা করা যায় না, কিন্তু তথাপি এই রাজারা গভীর চিন্তাশীল ছিলেন । এইরূপে নানা দিক হইতে দেখিলে ইহা স্পষ্টই অনুমিত হয় যে, এই দর্শনের আলোকে জীবন গঠন ও জীবন যাপন অবগুই সম্ভব, আর যখন আমরা পরবর্তী কালের ভগবদগীতা আলোচনা করি, ( আপনার অনেকেই বোধ হয় ইহা পড়িয়াছেন ; ইহ বেদান্তদর্শনের একটী সৰ্ব্বোত্তম ভাষ্যস্বরূপ ) তখন দেখিতে পাই, আশ্চর্য্যের বিষয় যে, সংগ্রামস্থল এই উপদেশের কেন্দ্ৰ— তথায়ই শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জুনকে এই দর্শনের উপদেশ দিতেছেন আর গীতার প্রত্যেক পৃষ্ঠায় এই মত উজ্জ্বলভাবে প্রকাশিত রহিয়াছে— তীব্ৰ কৰ্ম্মশীলতা, কিন্তু তাহার মধ্যে আবার অনন্ত শাস্তভাব। এই তত্ত্বকে কৰ্ম্মরহস্ত বলা হইয়াছে, এই অবস্থা লাভ করাই বেদান্তের লক্ষ্য। আমরা অকৰ্ম্ম বলিতে সচরাচর যাহা বুঝি অর্থাৎ নিশ্চেষ্টত; তাহ অবশু আমাদের আদর্শ হইতে পারে না । তাহা যদি হইত, তৰে ত আমাদের চতুষ্পার্শ্ববৰ্ত্ত দেয়ালগুলিই পরমজ্ঞানী হইত। তাহারা ত নিশ্চেষ্ট। মৃত্তিকাখও, গাছের গুড়ি, SNరిసి