পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । মুলকথা এই একত্ব বা অখণ্ডভাব । দুই কোথাও নাই, দুই প্রকার জীবন নাই, অথবা দুটা জগৎও নাই। তোমরা দেখিবে, বেদ প্রথমতঃ স্বর্গাদির কথা বলিতেছেন, কিন্তু শেষে যখন তাহারা তাহদের দর্শনের উচ্চতম আদর্শরে বিষয় বলিতে আরম্ভ করেন, তখন তাহারা ও সকল কথা একেবারে পরিত্যাগ করেন। একমাত্র জীবন আছে, একমাত্র জগৎ আছে, একমাত্র অস্তিত্ব আছে। সবই সেই একসত্তা মাত্র ; প্রভেদ পরিমাণগত, প্রকারগত নহে। ভিন্ন ভিন্ন জীবনের মধ্যে ভেদ প্রকারগত নহে। বেদান্ত এরূপ কথাসকল একেবারে অস্বীকার করেন যে, পশুগণ মনুষ্য হইতে সম্পূর্ণ পৃথক এবং তাহারা ঈশ্বর কর্তৃক আমাদের খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হুইবার জন্ত সৃষ্ট হইয়াছে। কতকগুলি লোকে দয়াপরবশ হইয়া জীবিত-ব্যবচ্ছেদfaffär rel ( Anti-vivisection society ) af"a করিয়াছেন। আমি এই সভার জনৈক সভ্যকে একবার জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, বন্ধো, আপনার খাদ্যের জন্য পশুহত্যা সম্পূর্ণ ষ্ঠায়সঙ্গত মনে করেন, অথচ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্ত দুষ্ট একটি পশুহত্যার এত বিরোধী কেন ? তিনি উত্তর দিলেন, 'জীবিত-ব্যবচ্ছেদ বড় ভয়ানক ব্যাপার, কিন্তু পশুগণ আমাদের খাদ্যের জন্ত প্রদত্ত হইয়াছে।’ কি ভয়ানক কথা ! বাস্তবিক পশুগণও ত সেই অখণ্ড সত্তার অংশ স্বরূপ । যদি মামুষের জীবন মনস্ত হয়, পশুরও তদ্রুপ । প্রভেদ কেবল পরিমাণগত, প্রকারগত নহে । আমিও যেমন, একটী ক্ষুদ্র জীবাণুও তদ্রপ—প্রভেদ কেবল পরিমাণগত, আর সেই সৰ্ব্বোচ্চ সত্তার দিক হইতে দেখিলে এ ©8ማ