পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । প্রভেদও দেখা যায় না । মানুষ অবগু তৃণ ও একটী ক্ষুদ্র বৃক্ষের ভিতর অনেক প্রভেদ দেখিতে পারে, কিন্তু যদি তুমি খুব উচ্চ আরোহণ কর, তবে ঐ তৃণ ও বৃহত্তম বৃক্ষ পর্য্যস্ত সমান হইয়া যাইবে। এইরূপ সেই উচ্চতম সত্তার দৃষ্টি হইতে এ সকলগুলিই সমান-আর যদি তুমি একজন ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী হও, তবে তোমায় পশুগণের সহিত উচ্চতম প্রাণীর পর্য্যন্ত সমতা মানিতে হইবে, তাহ না হইলে ভগবান ত একজন মহাপক্ষপাতী হইলেন। যে ভগবান মমুফুলামক র্তাহার সন্তানগণের প্রতি এত পক্ষপাতসম্পন্ন, আবার গগুনামক র্তাহার সস্তানগণের প্রতি এত নিৰ্দ্দয়, তিনি দানব হইতেও অধম । এরূপ ঈশ্বরের উপাসন করা অপেক্ষ বরং আমি শত শত বার মরিতেও স্বীকৃত হইব। আমার সমুদয় জীবন এরূপ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অতিবাহিত হইবে । কিন্তু বাস্তবিক ঈশ্বর ত এরূপ নহেন। যাহারা এরূপ বলে, তাহারা জানে না, তাহার দায়িত্ববোধহীন, হৃদয়হীন ব্যক্তি, তাহারা কি বলিতেছে, তাহ জানে না। এখানে আবার ‘ব্যবহারগম্য’ শব্দটা ভুল অর্থে ব্যবহৃত হইতেছে । বাস্তবিক কথা এই, আমরা খাইতে চাই, তাই খাইয়া থাকি। আমি নিজে একজন সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী না হইতে পারি, কিন্তু আমি নিরামিষ ভোজনের আদর্শটা বুঝি। যখন আমি মাংস খাই, তখন আমি জানি, আমি অস্তায় করিতেছি । ঘটনাবিশেষে “আমাকে উহা খাইতে বাধ্য হইতে হইলেও আমি জানি, উই অম্ভায় । আমি আদর্শকে নামাইয়া আমার দুৰ্ব্বলতার সমর্থন করিতে চেষ্টা করিব মা। আদর্শ এই:-মাংস ভোজন না করা එ$y